ঢাকা বুধবার
১৩ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৬ জুন ২০২৪

শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি সংসদে


Reporter01
124

প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৪
শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি সংসদে Collected from online



শেয়ারবাজারেও কালোটাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে সাদা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি তুলেছেন আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ। অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, দুই মাস ধরে শেয়ারবাজার একেবারে তলানিতে অবস্থান করছে। শেয়ারবাজারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ করবেন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। এই অধিবেশনজুড়ে সংসদ সদস্যরা বাজেটের ওপর আলোচনা করবেন। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ৬ জুন সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ বলেন, অতীতেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ ছিল। সরকার কর ফাঁকিদাতাদের বিশেষ সুবিধা দিলেও সৎ করদাতাদের সঙ্গে বৈষম্য করতে পারে না। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বৈষম্যমূলক ও অনৈতিক।

এদিকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি নির্দিষ্ট পরিমাণে ওই কর পরিশোধ করে তাদের অপ্রদর্শিত সম্পদ ট্যাক্স রিটার্নে সংযুক্ত করে তাহলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ অন্য কেউই কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না। তাতে বিনা প্রশ্নে কালোটাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ আবার ফিরে আসছে। বাজেটে বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ, নগদ টাকা, শেয়ারসহ যেকোনো বিনিয়োগ ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ পাবে বিনিয়োগকারীরা।

অর্থ বিলে বলা হয়েছে, নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সিকিউরিটিজ (শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট), আর্থিক স্কিম ও ইন্সট্রুমেন্ট এবং সকল প্রকার ডিপোজিট বা সেভিং ডিপোজিট ১৫ শতাংশ কর দিয়ে ট্যাক্স রিটার্নে প্রদর্শন করা যাবে। এর বাইরে যেকোনো প্রকারের পরিসম্পদের ক্ষেত্রে নায্য বাজারমূল্যের ১৫ শতাংশ কর দিয়ে সেগুলোকে বৈধ করা যাবে।

এদিকে কর বসানো হয়েছে মূলধনী মুনাফা বা ক্যাপিটাল গেইনের ওপর। অর্থমন্ত্রী বাজেটে প্রস্তাব করেছেন, ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত মূলধনী মুনাফায় কোনো কর বসবে না। তবে ৫০ লাখ টাকার বেশি মুনাফা করলে তার ওপর কর দিতে হবে।

সেকেন্ডারি বাজারে শেয়ার লেনদেন করে কোনো বিনিয়োগকারী যদি এক বছরে ৫৫ লাখ টাকা মুনাফা করেন, তাহলে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধার আওতায় থাকবেন। বাকি পাঁচ লাখ টাকা মুনাফা ওই বিনিয়োগকারীর মোট আয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে।

তাতে ওই বিনিয়োগকারীর নির্দিষ্ট একটি অর্থবছরে তার মোট আয়ের ওপর যে হারে কর প্রযোজ্য হবে, সেই হারে কর দিতে হবে। তবে কোনো বিনিয়োগকারী যদি কোনো শেয়ার একটানা পাঁচ বছর ধরে রেখে ৫০ লাখ টাকার বেশি মুনাফা করেন, সে ক্ষেত্রে ওই মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ হারে করারোপ হবে।

এছাড়া তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানি বা তহবিলের সিকিউরিটিজ বা শেয়ার হস্তান্তরের জন্য ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান করতে হবে। তবে মাতা-পিতা, সন্তান এবং স্বামী- স্ত্রীর মাঝে উপহার হিসেবে শেয়ার বিনিময়ে এ কর আরোপিত হবে না।


আরও পড়ুন:

বিষয়: