ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৬ জুন ২০২৪

নারী বিনিয়োগকারী আসলে পুঁজিবাজারে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে: বিএসইসি চেয়ারম্যান


Reporter01
88

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২৪
নারী বিনিয়োগকারী আসলে পুঁজিবাজারে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে: বিএসইসি চেয়ারম্যান Collected from online



নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরুষের পাশাপাশি যত বেশি নারী বিনিয়োগকারী আসবে দেশের পুঁজিবাজারে তত বেশি প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। তিনি বলেন, নারীরা এগিয়ে এলো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারা ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে।

বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত পুঁজিবাজারে নারী ও স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার ২০২৩ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নারীরা সঞ্চয় থেকে শুরু করে স্মার্ট বিনিয়োগ করতে পারবে।পুরুষের পাশাপাশি নারী বিনিয়োগকারী আসলে দেশের পুঁজিবাজারে তত বেশি প্রবৃদ্ধি হবে। আর পুঁজিবাজার যত ভালো হবে দেশের অর্থনীতি ততো ভালো হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সবাই মিলে দেশের উন্নয়নে কাজ করছি, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছি। তবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুধুমাত্র মানি মার্কেট দিয়ে তা সম্ভব না। মানি মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেটের যৌথ শক্তি একটা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই আমরা বার বার বলছি স্বল্প মেয়াদি-মধ্যমেয়াদি যেসব ব্যবসা সেগুলো মানি মার্কেটে এবং দীর্ঘমেয়াদি যেসব বিনিয়োগ ফাইন্যান্স দরকার সেগুলো ক্যাপিটাল মার্কেটে হওয়া দরকার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাজার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বড় ধরনের তফাত রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা অনেক এগিয়ে থাকলেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে অনেক পিছিয়ে আছে। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমেছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নারীরা কেন পিছিয়ে রয়েছেন, তার কারণ খুঁজে বের করে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে হবে। নারীরা যাতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসেন, তার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা দরকার।

অনুষ্ঠানে বিএসইসি স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী ও শুদ্ধাচারে চারটি ক্যাটাগরিতে ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়। বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কারের ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়।

এ বছর সেরা ব্রোকার ডিলার হিসেবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে যথাক্রমে আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ ও শান্তা সিকিউরিটিজ। সেরা মার্চেন্ট ব্যাংক হিসেবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে যথাক্রমে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস। আর সেরা সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে যথাক্রমে একাশিয়া এসআরআইএম ও আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি।

এর বাইরে বিএসইসির তিন কর্মকর্তাকে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ রকিবুর রহমান, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সমীর ঘোষ ও অফিস সহায়ক সুজন আলম।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আবদুর রহমান খান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, আবদুল হালিম, রুমানা ইসলাম ও এ টি এম তারিকুজ্জামান।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতা ও করণীয় বিষয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নারী উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অংশ নেন। তাঁরা শেয়ারবাজারে নারী বিনিয়োগকারীদের পিছিয়ে থাকার নানা কারণ তুলে ধরেন।


আরও পড়ুন:

বিষয়: