ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৬ জুন ২০২৪

সিভিল ডিফেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক বাড়ানোর আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর


Reporter01
167

প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সিভিল ডিফেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক বাড়ানোর আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর Collected from google



স্টাফ রিপোর্টার

অগ্নিকাণ্ড ও যেকোনো দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় দক্ষ সিভিল ডিফেন্স ও স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআইয়ের কার্যালয়ে ‘ফায়ার সেফটি চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড মিটিগেশন স্ট্র্যাটেজিস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা সবাই একটি বসবাসযোগ্য ও স্মার্ট ঢাকা গড়ে তুলতে চাই। এ পরিকল্পনা সামনে রেখে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সবুজ ঢাকা বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতসহ সর্বসাধারণের অংশগ্রহণ চান মন্ত্রী।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সারাদেশে খাল, বিল, নদী, পুকুর দখলমুক্ত করার উদ্যোগ চলমান রয়েছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে সরকার প্রয়োজনে আরও কঠোর হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

অগ্নিকাণ্ড ও যেকোনো দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় দক্ষ ফায়ার ফাইটার ও স্বেচ্ছাসেবী তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, ফায়ার একাডেমি নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেখানে অবকাঠামো নির্মাণ কাজও চলমান রয়েছে। পাশাপাশি সিভিল ডিফেন্স ও স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা বাড়ানোর হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, প্রতি বছর অগ্নিকাণ্ডের জন্য প্রাণহানির পাশাপাশি রাষ্ট্রের অনেক সম্পদ নষ্ট হয়ে যায়। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব।

এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, তৈরি পোশাকসহ রপ্তানিমুখী শিল্পের বাইরে অন্যান্য শিল্পে কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিল। যার আওতায় গার্মেন্টস ব্যতীত প্রায় ১ হাজার ২০০ শিল্প কারখানা ও ১৭২টি মার্কেট পরিদর্শন এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান; ৪ হাজার ৬০০ জন শ্রমিককে অগ্নিকাণ্ডজনিত ঘটনায় প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে প্রশিক্ষণ; ১৪০ জন মাস্টার ট্রেইনার তৈরি এবং ৪টি বিভাগীয় চেম্বার ও ১২টি অ্যাসোসিয়েশন সেফটি সেল স্থাপন করা হয়েছে।

ইলেক্ট্রনিকস সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশনের (ইসাব) তথ্য বলছে, দেশে যেসব অগ্নিনির্বাপক ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার হয় তার শতভাগই আমদানি করতে হয় বাংলাদেশকে। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই গুণগত মানের ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্ট তৈরিতে সরকারের সহযোগিতা চান এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও ইসাবের সভাপতি মো. নিয়াজ আলী চিশতি।

অগ্নিঝুঁকি কমাতে শিল্প এলাকাগুলোতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন স্থাপনের পরামর্শ দেন এফবিসিসিআইয়ের প্যানেল উপদেষ্টা স্থপতি ইকবাল হাবীব।

সেমিনারে বক্তারা ব‌লেন, অগ্নিকাণ্ডসহ যেকোনো দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে শহরের পাশাপাশি মফস্বলেও ভবন নির্মাণ নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি রাজধানীতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ, শিল্পকারখানা স্থাপন এবং নগরায়ণের ক্ষেত্রে সরকার প্রণীত বিধিবিধান ও আইনগুলোর যথাযথ প্রয়োগে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের তৎপরতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. জিল্লুর রহমান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), মো. মুনির হোসেন, এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহিদুল্লাহ, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকরা, সাধারণ পরিষদের সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতারা।


আরও পড়ুন:

বিষয়: