মোট লেনদেনের ১০% লেনদেন নিয়ে শীর্ষে পাওয়ার খাতের খুলনা পাওয়ার

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসইতে) ৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে ফুয়েল ও পাওয়ার খাতে। আজ মার্কেটের মোট লেনদেনে আগের দিনের তুলনায় খুব বেশি তারতম্য ছিলোনা। গত দিনের তুলনায় ফুয়েল ও পাওয়ার খাতের লেনদেন ১৮.৯৫% বেড়েছে। মোট লেনদেনের দিক থেকে ২৩.৩৪% লেনদেন নিয়ে খাতটি আজ ডিএসইতে শীর্ষে অবস্থান করছে। ডিএসইতে গতকাল এই খাতের অবদান ছিল ১৮.২৫% যা আজকের দিনের তুলনায় ৫.০৯% কম। এই খাতে আজও সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খুলনা পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি আজ মোট ৮৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে যা মোট লেনদেনের প্রায় ১০.৬৩%। এদিকে গত কালকের তুলনায় শেয়ারটির মূল্য ১.২৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। লেনদেনের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থান ছিলো একই খাতের আরেকটি কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটির আজ ৪৪ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে যা মোট লেনদেনের ৫.৫২%। লেনদেনে অবদানের ভিত্তিতে দেখলে আজকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল যথাক্রমে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেক্সটাইল খাত। টেক্সটাইল খাত: লেনদেনের ভিত্তিতে টেক্সটাইল খাতের অবদান ছিল আজ ১৬.৪৫% যা গত দিনের চেয়ে ৪.২২% কম। এই খাতে আজও সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ড্রাগন সোয়েটার এন্ড স্পিনিং লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির আজ ১৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে যা মোট লেনদেনের প্রায় ২.২৪%। তাছাড়া শেয়ারটির মূল্য গত দিনের চেয়ে ১.৪৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং খাত: মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান ছিল ১৩.৯২% যা গত দিনের চেয়ে ১.৫৬% কম। এই খাতে আজ সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিবিএস কেবলস লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির আজ ২৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে যা মোট লেনদেনের ৩.১৯%। এদিকে শেয়ারটির মূল্য গতদিনের তুলনায় ৩.১৫% হ্রাস পেয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যাল এন্ড কেমিক্যাল খাত: এদিকে লেনদেনের ভিত্তিতে আজ ফার্মা ও কেমিক্যাল খাতের অবদান ছিল ১৩.০২% যা গত দিনের তুলনায় ৩.৫৪% বেশি। এই খাতে আজ সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ২১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে যা মোট লেনদেনের প্রায় ২.৭৪%। এদিকে আজ ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের মোট ৩৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯টির এবং কমেছে ২৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১টি কোম্পানি। ফুয়েল ও পাওয়ার খাতের ১৯টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০টির এবং কমেছে ৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১টি কোম্পানির। টেক্সটাইল খাতের ৫২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ২৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭টি কোম্পানির।