প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ
নিউজ ডেস্ক
65
প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার: পার্বত্য তিন জেলা ব্যতীত সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বিভিন্ন পত্রিকায় ও তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নিয়োগের বিষয়টি জানিয়েছে।
কতজন নেওয়া হবে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন পদটিতে প্রায় ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। তবে পদের সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে।সহকারী শিক্ষক পদে এরই মধ্যে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ৩০ আগস্ট রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিটি পাওয়া যাবে www.dpe.gov.bd এই ঠিকানায়।
আবেদনের যোগ্যতা: এ পদে আবেদনের জন্য পুরুষ প্রার্থীদের কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি/সমমানের জিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি পাস হতে হবে। অন্যদিকে, মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/সমমানের জিপিএসহ উত্তীর্ণ অথবা স্নাতক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় প্রার্থীদের বয়স ৩০ আগস্ট ২০১৮ তারিখে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর।
আবেদন করবেন যেভাবে: এ পদে প্রার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। http://dpe.telelalk.com.bd এবং www.dpe.gov.bd এই ওয়েবসাইটে লগ ইন করলে একটি লিংক পাওয়া যাবে। এই লিংকে প্রবেশ করে সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা মোতাবেক অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। সঠিকভাবে পূরণকৃত অ্যাপ্লিকেশন কপির ইউজার আইডি দিয়ে আবেদন ফি জমা দিতে হবে। শুধু ইউজার আইডিপ্রাপ্ত প্রার্থীরা উক্ত সময় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে ফি প্রদান করতে পারবে। আবেদনকারীকে একটি ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। এই ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড সব সময়ের জন্য প্রার্থীকে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রার্থীকে পরীক্ষার ফি বাবদ অফেরতযোগ্য সার্ভিস চার্জসহ ১৬৬.৫০ টাকা যেকোনো টেলিটক মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে যথাসময়ে প্রেরণ করতে হবে।
নির্বাচন পদ্ধতি: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক পদে এর আগে ৮০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা ও ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হতো। বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন থাকত। তবে এবারের নিয়োগে কত নম্বরের পরীক্ষা হবে এই বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এসব পরীক্ষার তারিখ পরে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে বলে অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আবেদনপত্রের সঙ্গে অনলাইনে দাখিলকৃত আবেদনের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি, প্রথম শ্রেণির গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত সব মূল বা সাময়িক সনদপত্র এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিতে হবে।
বেতন: চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১০ হাজার ২০০ (গ্রেড ১৪) টাকা স্কেলে বেতন পাবেন। আর প্রশিক্ষণবিহীন একজন সহকারী শিক্ষক ৯ হাজার ৭০০ (গ্রেড-১৫) টাকা স্কেলে বেতন পাবেন। সূত্র- প্রথম আলো।
আরও পড়ুন:
মার্কেট টাইমস সম্পর্কিত আরও
দিনভর উত্থান দেখিয়ে ঈদের ছুটিতে শেয়ারবাজার
১৩ জুন ২০২৪
সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে শেয়ারবাজারে
১২ জুন ২০২৪
তিন শতাধিক কোম্পানির দরপতনেও বেড়েছে লেনদেন
১১ জুন ২০২৪
দেড় ঘণ্টায় প্রধান সূচক কমলো ৭২ পয়েন্ট
১০ জুন ২০২৪
লোকসানে ১১ খাতের বিনিয়োগকারীরা
০৮ জুন ২০২৪
সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় ৩৮১ কোটি টাকার লেনদেন
০৫ জুন ২০২৪