ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৫ জুন ২০২৪

২১ বিলিয়ন ডলার প্রবাস আয় বছর শেষের আগেই


নিউজ ডেস্ক
171

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২২
২১ বিলিয়ন ডলার প্রবাস আয় বছর শেষের আগেই



প্রবাস আয় বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্তম্ভের মতো কাজ করছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এ বছরেই এখন পর্যন্ত এসেছে ২১ বিলিয়ন ডলার। তিনি বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে প্রবাস আয় বেড়েছে। প্রবাস আয়ে প্রণোদনা দেওয়ার কারণে আগে যেখানে গড়ে প্রতিবছর ১৪ বিলিয়ন ডলার আসত, এখন সেখানে বছরই না শেষ হতেই এখন পর্যন্ত এসেছে ২১ বিলিয়ন ডলার। গতকাল বুধবার ডিজিটাল শুমারির চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এ সময় তিনি জনশুমারি প্রসঙ্গে বলেন, ‘জনশুমারিতে তথ্য দিলেই যে কর বা খাজনা দিতে হবে, এই ধারণা ভুল। এমন ধারণার কারণে কোনোভাবেই যাতে এই কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মানুষের ভুল ধারণা ভেঙে দিতে হবে। তাদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য আনতে হবে। তাহলেই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পূরণ হবে। ’ বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) সামসুল আরেফিন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং পরিসংখ্যান ও তথ্যব্যবস্থা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন এবং বিবিএসের উপসচিব দীপঙ্কর রায়। এ সময় ভিডিও বার্তায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জনশুমারির তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক তথ্য আনতে হবে। উন্নত দেশ গড়তে যার যার কাজ করে যেতে হবে। করোনাসহ নানা কারণে দেড় বছর পিছিয়ে এখন জনশুমারি করা হচ্ছে। আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন মূল গণনার কাজ হবে। এতে সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে। তাহলেই বৃহৎ এই কর্মষজ্ঞ সফল হবে। সামসুল আরেফিন বলেন, ডিজিটাল শুমারির ক্ষেত্রে নিরাপত্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জনশুমারিতে সংরক্ষিত এলাকা, যেমন—ক্যান্টনমেন্ট, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্ট গার্ডসহ যেকোনো নিয়স্ত্রিত এলাকায় তথ্য সংগ্রহকারীদের সহায়তা করতে হবে।

আরও পড়ুন:

বিষয়: