মূল্যসংযোজন ২০ শতাংশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন
নিউজ ডেস্ক
123
প্রকাশিত: ১০ মে ২০২২
রফতানিনির্ভর দেশের পোশাক শিল্পের বেশির ভাগ কাঁচামালই আমদানি করতে হয়। নিট পোশাকে এ নির্ভরতা কমে এলেও ওভেন পোশাকের বেশির ভাগ কাঁচামাল আসে বিদেশ থেকে। কিন্তু বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পথে থাকায় শর্তে পরিবর্তন এনে নগদ সহায়তা পেতে ন্যূনতম মূল্যসংযোজনের হার নির্ধারণ করা হয় ৩০ শতাংশ। কিন্তু ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেটি পরিবর্তন করে সরকার। সে অনুযায়ী বস্ত্র খাতে বিদ্যমান হারে রফতানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দিতে স্থানীয় মূল্যসংযোজন ন্যূনতম ২০ শতাংশ করা হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিভাগ এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রীর সম্মতি জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের রফতানি-১ অধিশাখা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়। পাশাপাশি চিঠিটি পাঠানো হয় অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবরও। চিঠিতে বলা হয়, তৈরি পোশাক খাতে মূল্যসংযোজনের হার ২০ শতাংশ ধরা হতো। ওভেন পোশাক খাতটি আমদানীকৃত কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ৮০ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। ৩০ শতাংশ দেশীয় মূল্যসংযোজনের শর্তারোপ করা হলে সব ক্ষেত্রে রফতানি প্রণোদনা পাওয়ার যোগ্যতা পূরণ করা সম্ভব হবে না। তাই আগের মতো ন্যূনতম ২০ শতাংশ মূল্যসংযোজন শর্ত নির্ধারণ করার লক্ষ্যে বিজিএমইএ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে আরো বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা প্রথা হঠাৎ করে পরিবর্তন করা হলে তা পলিসি প্রিডিক্টেবিলিটিকে (নীতি অনুমানযোগ্যতা) ক্ষতিগ্রস্ত করবে। মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠির পর বাংলাদেশ ব্যাংক আবারো নতুন করে এ প্রজ্ঞাপন জারি করল।
জারি করা নতুন এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে জাহাজীকৃত রফতানি চালানের বিপরীতে দাখিলকৃত অনিষ্পন্ন আবেদনগুলোসহ এ সার্কুলার জারির তারিখ থেকে পরবর্তী সময়ে দাখিলযোগ্য আবেদনের ক্ষেত্রে আলোচ্য নির্দেশনা কার্যকর হবে। একই সঙ্গে বস্ত্র খাতে রফতানি প্রণোদনা/নগদ সহায়তা প্রদান সংশ্লিষ্ট সব এফই সার্কুলার/সার্কুলার পত্রের অন্যান্য প্রয়োজ্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
২০২১-২২ অর্থবছরের আগে পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ন্যূনতম ২০ শতাংশ মূল্যসংযোজন করলেই রফতানিতে নগদ সহায়তা পাওয়ার যোগ্য হতো। কিন্তু এ অর্থবছর শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে শর্তে পরিবর্তন আসে। পরিবর্তিত শর্তে নগদ সহায়তা পেতে ন্যূনতম মূল্যসংযোজনের হার নির্ধারণ হয় ৩০ শতাংশ। তবে এ হার পরিবর্তন না করে পুরনো হার বজায় রাখতে অনুরোধ করেন দেশের শিল্পমালিকরা। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া এক সার্কুলারে মূল্যসংযোজনের হারে পরিবর্তন আসে। ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য জারি হওয়া ওই সার্কুলারে বলা হয়, রফতানির বিপরীতে প্রণোদনা /নগদ সহায়তাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রফতানির বিপরীতে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ দেশীয় মূল্যসংযোজন থাকতে হবে।আরও পড়ুন:
মার্কেট টাইমস সম্পর্কিত আরও
দিনভর উত্থান দেখিয়ে ঈদের ছুটিতে শেয়ারবাজার
১৩ জুন ২০২৪
সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে শেয়ারবাজারে
১২ জুন ২০২৪
তিন শতাধিক কোম্পানির দরপতনেও বেড়েছে লেনদেন
১১ জুন ২০২৪
দেড় ঘণ্টায় প্রধান সূচক কমলো ৭২ পয়েন্ট
১০ জুন ২০২৪
লোকসানে ১১ খাতের বিনিয়োগকারীরা
০৮ জুন ২০২৪
সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় ৩৮১ কোটি টাকার লেনদেন
০৫ জুন ২০২৪