ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৫ জুন ২০২৪

ডলারে ঋণের বিপরীতে সমপরিমাণ রুপি রাখছে শ্রীলঙ্কা


নিউজ ডেস্ক
126

প্রকাশিত: ০৯ মে ২০২২
ডলারে ঋণের বিপরীতে সমপরিমাণ রুপি রাখছে শ্রীলঙ্কা



বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে সংকটগ্রস্ত দেশ শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। এর বিপরীতে শ্রীলঙ্কা সমপরিমাণ রুপি রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। দিনে দিনে ডলারের বিপরীতে রুপি যত মান হারাচ্ছে, শ্রীলঙ্কা ততই রুপির পরিমাণ বাড়াচ্ছে। এটাই এই ঋণের অন্যতম শর্ত। সংকটে পড়লেও শ্রীলঙ্কা এখনো প্রতি সপ্তাহে এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে চলেছে। শেষ পর্যন্ত আদায় না হলে শ্রীলঙ্কার রুপি ব্যবহার করতে পারবে বাংলাদেশ, এমনটাই আছে ঋণের শর্তে। ফলে রিজার্ভের এই ঋণ বেহাত হওয়ার আশঙ্কা আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ ব্যাংক যখন ঋণ দেয়, তখন প্রতি ডলারের বিপরীতে ১৯৯ শ্রীলঙ্কার রুপি পাওয়া যেত। এখন এক ডলার কিনতে লাগছে ৩৫৪ রুপি। শ্রীলঙ্কা এই হিসাবে প্রতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ২০ কোটি ডলারের বিপরীতে সমপরিমাণ রুপি রাখছে। মুজিব চিরন্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে গত বছরের ১৯ মার্চ ঢাকায় আসেন। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। সেই বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ডব্লিউ ডি লক্ষ্মণ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে ডলার চেয়ে চিঠি দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিজার্ভ থেকে গত বছরের ১৯ আগস্ট ৫ কোটি ডলার, ৩০ আগস্ট ১০ কোটি ডলার ও ২১ সেপ্টেম্বর ৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হয় শ্রীলঙ্কাকে। দেশটি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পরিশোধের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় বৈদেশিক মুদ্রার ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে আমদানির মূল্য পরিশোধ করতে পারছে না তারা। এতে মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলছে। বিদ্যুৎ থাকছে না সেখানে। খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের প্রতিবাদে দেশজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ দমনে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। শুরু হয়েছিল করোনাভাইরাসের কারণে শ্রীলঙ্কার পর্যটন খাত লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর। এখন যা অন্যান্য খাতে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ডলারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কান রুপি অদলবদল বা সোয়াপ করে এই অর্থ দেওয়া হয়েছে। এর বিপরীতে আড়াই শতাংশ হারে সুদও পাবে বাংলাদেশ। এখন সংকট তীব্র হওয়ায় আসল পাওয়া নিয়েও চিন্তা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন:

বিষয়: