ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৫ জুন ২০২৪

কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপনে এমসিএক্সের সঙ্গে সিএসইর চুক্তি


নিউজ ডেস্ক
116

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২২
কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপনে এমসিএক্সের সঙ্গে সিএসইর চুক্তি



দেশে প্রথমবারের মতো কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। এজন্য পরামর্শক হিসেবে ভারতের মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জের (এমসিএক্স) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে সিএসই। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী।

এমসিএক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিএস রেড্ডি এবং সিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম ফারুক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হচ্ছে এক ধরনের বাজার যেখানে ক্রেতা বিক্রেতা এক্সচেঞ্জের বেঁধে দেয়া নিয়মানুসারে পণ্যের চুক্তি লেনদেন করে থাকে। এক্সচেঞ্জটি স্থাপনের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি কেন্দ্রীয় বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে উৎপাদকরা তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এখানে একজন কৃষক ফসল তোলার আগেই তার পণ্যের দাম নির্ধারণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ সবসময়ই প্রত্যেক বিক্রেতার জন্য একজন ক্রেতা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির কারণে বেশ অস্বস্তিতে আছি। এ পরিস্থিতিতে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছি। কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপনের মধ্যেই এর সমাধান নিহিত রয়েছে। এটি অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী বলেন, দক্ষ পণ্য ব্যবস্থাপনা এবং গুণগতমান ও সরবরাহ নিশ্চিত করাই এ অঞ্চলে ভারত ও বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কমোডিটি এক্সচেঞ্জের জন্য প্রয়োজনীয় গুদামের গুণগতমান নিশ্চিত করতে সিএসইকে এমসিএক্স সহায়তা করবে বলে জানান তিনি।

বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরো ত্বরান্বিত করবে। কৃষকদের ভালো দাম প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি পণ্যের মূল্যের অস্থিরতা কমানোর মাধ্যমে এটি দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। ফসল কাটার আগেই কৃষক পণ্যের দাম জানতে পারবেন এবং ব্যবসায়ীরা জানতে পারবেন তারা কার কাছ থেকে কিনছেন। এর মাধ্যমে দেশের সরবরাহ ব্যবস্থা ও কোল্ড স্টোরেজ ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম বলেন, এর মাধ্যমে গ্রামের কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে এবং কৃষি খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। চট্টগ্রামভিত্তিক একটি কনগ্লোমারেট সেখানে বড় একটি গুদাম স্থাপন করছে এবং তারা কমোডিটি এক্সচেঞ্জ পরিচালনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও সিএসইর পরিচালক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম এ সময় বক্তব্য রাখেন।


আরও পড়ুন:

বিষয়: