সফটওয়্যার ব্যবহারে লাগবে স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন
নিউজ ডেস্ক
103
প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০২২
শেয়ারবাজারের ব্রোকারেজ হাউসগুলো এখন থেকে স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন ছাড়া কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবে না। আবার ব্রোকারেজ হাউসে সফটওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বা ভেন্ডরও ঠিক করে দেবে স্টক এক্সচেঞ্জ। ওই সব ভেন্ডরের বাইরে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবে না ব্রোকারেজ হাউসগুলো। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) এ নির্দেশনা দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বর্তমানে যেসব ব্রোকারেজ হাউস একটির বেশি ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করে, তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করতে বলা হয়েছে বিএসইসির নির্দেশনায়। পাশাপাশি ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে তাৎক্ষণিক পরিদর্শনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জ দুটিকে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে ব্রোকারেজ হাউসগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন ভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। বিনিয়োগকারী ও স্টক এক্সচেঞ্জের চোখ ফাঁকি দিতে একাধিক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহারের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। এরই অংশ হিসেবে গত রোববার ডিএসই ও সিএসইকে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়। আগামী জুনের মধ্যে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের সময় বেঁধে দিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসি বলেছে, ডিএসই ও সিএসই তাদের নির্ধারিত ভেন্ডরদের ব্রোকারেজ হাউসে সফটওয়্যার সরবরাহের যে অনুমোদন দেবে, তা কমিশনকে অবহিত করতে হবে। জানতে চাইলে সিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের নির্দেশনা জারির বিষয় আমি শুনেছি। তবে এখনো চিঠিটি আমার হাতে আসেনি। চিঠি পাওয়ার পর নির্দেশনা বাস্তবায়নে শিগগিরই সভা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ব্যবহারসংক্রান্ত নতুন নীতিমালা করতে হবে ডিএসই ও সিএসইকে। নীতিমালা তৈরির পর তা ব্রোকারেজ হাউসগুলোর মধ্যে বিতরণ করতে হবে। পাশাপাশি ব্রোকারেজ হাউসগুলোর নেটওয়ার্ক স্থাপন ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত নীতিমালাও তৈরি করতে বলা হয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জ দুটিকে। এ ছাড়া ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রতিদিনের লেনদেনসংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য সংরক্ষণে ডিএসই ও সিএসইকে আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ ও ব্যাকআপ নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীসহ বাজারসংশ্লিষ্টদের মধ্যে একটি ধারণা রয়েছে, বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস লেনদেন ও ব্যাক অফিসের জন্য আলাদা আলাদা সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। পরে এসব সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থ তছরুপ হয়। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও বাজারে শৃঙ্খলা আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মার্কেট টাইমস সম্পর্কিত আরও
দিনভর উত্থান দেখিয়ে ঈদের ছুটিতে শেয়ারবাজার
১৩ জুন ২০২৪
সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে শেয়ারবাজারে
১২ জুন ২০২৪
তিন শতাধিক কোম্পানির দরপতনেও বেড়েছে লেনদেন
১১ জুন ২০২৪
দেড় ঘণ্টায় প্রধান সূচক কমলো ৭২ পয়েন্ট
১০ জুন ২০২৪
লোকসানে ১১ খাতের বিনিয়োগকারীরা
০৮ জুন ২০২৪
সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় ৩৮১ কোটি টাকার লেনদেন
০৫ জুন ২০২৪