ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৫ জুন ২০২৪

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করতে হবে


নিউজ ডেস্ক
99

প্রকাশিত: ০১ মার্চ ২০২২
দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করতে হবে



বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ বলেছেন, বেসরকারি খাতের দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তাদের অবস্থার উন্নতি ঘটানোর জন্য সময় বেঁধে দিতে হবে। নইলে সেগুলোকে অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করে দেওয়া যেতে পারে। আর সরকারি ব্যাংকগুলো পরিচালনায় স্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিতে হবে। যেখানে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ২০তম নুরুল মতিন মেমোরিয়াল ‘এথিকস ইন ব্যাংকিং’ বা ‘ব্যাংকসেবায় নৈতিকতা’ শীর্ষক বক্তৃতায় গতকাল সোমবার তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান।
সাদিক আহমেদ বলেন, সরকারি খাতে কেবল একটি ব্যাংক রেখে বাকিগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। আবার একটি রেখে অন্য সরকারি ব্যাংকগুলোকে ন্যারো ব্যাংকেও পরিণত করা যেতে পারে। এসব ব্যাংক আমানত নিলেও শুধু ট্রেজারি বিলে তা বিনিয়োগ করতে পারবে। কোনো ঋণ দিতে পারবে না। তবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এর কোনোটাই সম্ভব না। এ জন্য সরকারি ব্যাংকে তদারকির পুরো দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। সাদিক আহমেদ বলেন, ব্যাংকিং কার্যক্রমে নৈতিকতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ব্যাংকিং গভর্ন্যান্স। ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া সংস্কার কর্মসূচির আগে, ব্যাংক খাতে প্রশাসন খুবই দুর্বল ছিল। এখন ব্যাংকিং নৈতিকতা আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। ১৯৯৮-পরবর্তী সময়ে ব্যাংকিং খাতের সংস্কারগুলো মূলত এই খাত সুশাসন ও নৈতিকতার পুনরুদ্ধার করেছিল। এ সময় ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন আইন-কানুন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। এর মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতের সামগ্রিক অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।

আরও পড়ুন:

বিষয়: