ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৫ জুন ২০২৪

ই-কমার্স খাতে উৎসেকর মওকুফ চায় ই-ক্যাব


নিউজ ডেস্ক
101

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ই-কমার্স খাতে উৎসেকর মওকুফ চায় ই-ক্যাব



ই-কমার্স সেক্টরকে উৎসেকর মওকুফ, ই-কমার্স সেক্টরের মার্কেটপ্লেস ও রিটেইলারকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িতকরণের দাবি জানিয়েছে ই-কমার্স-বিষয়ক সংগঠন ই-ক্যাব। আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরে ই -কমার্সবান্ধব বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যে গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ই-ক্যাবের মধ্যে আয়োজিত এক বৈঠকে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোহাম্মদ রাহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। ই-ক্যাবের আট সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার। প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন আজকের ডিলের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর, রকমারি ডটকমের প্রধান নির্বাহী মাহমুদুল হাসান সোহাগ, ই ক্যাবের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম শোভন, ফুডপান্ডার প্রতিনিধি আওরঙ্গজেব হোসেন, দারাজ প্রতিনিধি সামসুল আলম মাসুদ প্রমুখ।

এ সময় ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে ই-কমার্সের গুদামঘর বা ফুলফিলমেন্ট সেন্টারের ভাড়ার ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারকরণ এবং প্রচলিত দোকানের সঙ্গে ই-কমার্সের ভ্যাট-ট্যাক্স বৈষম্য নিরসনের দাবি জানানো হয়। এছাড়া ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে ভ্যাট প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করার প্রস্তাব করা হয়। ই -ক্যাবের উপস্থাপনায় বলা হয়, অর্থ আইন, ২০১৬ (৪৪)-এর ৪২সি অনুযায়ী ন্যূনতম করের ক্ষেত্রে গ্রস রিসিপ্টস ন্যূনতম সীমা রয়েছে, তাদের জন্য শিল্প ধরন বিশেষে ন্যূনতম করহার ধার্য করা হয়। এক্ষেত্রে টেলিকম ও সিগারেট কোম্পানি ছাড়া অন্য সব কোম্পানির জন্য গ্রস রিসিপ্টসের দশমিক ৬ শতাংশ ন্যূনতম করহার ধার্য করা হয়। ই-কমার্স এখনো লাভজনক নয় বিধায় তাদের ক্ষেত্রে এটি শূন্য শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়।

শমী কায়সার বলেন, গতবার সরকার আমাদের আবেদনের পুরপ্রেক্ষিতে ই -বুক ও অনলাইন এডুকেশনের ওপর সব ধরনের ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। আমাদের আরো কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন সোর্স ট্যাক্স ও কোনো ক্ষেত্রে দ্বৈত কর। এসব বিষয় আইনের ধারা উল্লেখপূর্বক প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। আশা করছি রাজস্ব বোর্ড বিষয়টি বিবেচনা করবে। আমরাও রাজস্ব আদায়ে সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু সেটা এ খাতকে বাধাগ্রস্ত করে নয়।

ই-ক্যাবের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল হক বলেন, আমরা মনে করি, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর জন্য ই-কমার্স খাতের আরো প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন। তাই ই-কমার্সবান্ধব বাজেট প্রণয়নে আমাদের দাবিগুলো আমরা তুলে ধরেছি। ই -ক্যাবের কোনো সদস্যকে ভ্যাট ও ট্যাক্স আদায়ের নামে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা যেন হয়রানি না করেন, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

এছাড়া সরবরাহকারীর ভ্যাট চালান শর্ত প্রত্যাহার এবং টেকওয়ে বা অনলাইন ফুডের ওপর ভ্যাট ১৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়। এ ব্যাপারে ই-ক্যাবের প্রতিনিধিরা তাদের যুক্তি তুলে ধরেন।


আরও পড়ুন:

বিষয়: