সোনার দাম বাড়ছে

আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশেও দাম সমন্বয়ের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। তাতে একলাফে সোনার দাম ভরিতে বাড়ছে ১ হাজার ৮৬৭ টাকা। তাতে প্রতি ভরির দাম দাঁড়াবে ৭৫ হাজার টাকা। নতুন এই দর কাল বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে। জুয়েলার্স সমিতির মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বুধবার বিষয়টি জানানো হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৬ ডিসেম্বর সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়েছিল বাজুস। তার আগে ১৩ নভেম্বর দাম বেড়েছিল ২ হাজার ৩৩৩ টাকা। জুয়েলার্স সমিতির তথ্যানুযায়ী, দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার অলংকার কিনতে লাগবে ৭৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট ৭১ হাজার ৬৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬১ হাজার ৮১৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার অলংকারের ভরি বিক্রি হবে ৫১ হাজার ২০৫ টাকায়। আজ বুধবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ৭৩ হাজার ১৩৩ টাকা, ২১ ক্যারেট ৬৯ হাজার ৯৮৪ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬১ হাজার ২৩৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার অলংকার বিক্রি হয়েছে ৫০ হাজার ৯১৩ টাকায়। কাল থেকে ২২ ক্যারেটে ১ হাজার ৮৬৭ টাকা, ২১ ক্যারেটে ১ হাজার ৬৯১ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ৫৮৩ ও সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরিতে ২৯২ টাকা বৃদ্ধি পাবে। সাধারণত সমিতি সব ক্যারেটে সোনার দাম একই হারে বৃদ্ধি বা হ্রাস করে। এবার অবশ্য একেক ক্যারেটের দাম একেক হারে বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা  বলেন, সাধারণত মফস্বল এলাকায় ১৮ ক্যারেট বা সনাতন পদ্ধতির অলংকার বেশি তৈরি হয়। এসব অলংকারে ভোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা থাকে। সে জন্য ১৮ ক্যারেট বা সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম কম হারে বাড়ানো হয়েছে। ১৮ ক্যারেট বা সনাতন পদ্ধতির অলংকার তৈরিকে নিরুৎসাহিত করতেই এই উদ্যোগ বলে দাবি করেন তিনি। করোনকালে পুরোনো অলংকার বিক্রির প্রবণতা বেড়েছে। সোনার দাম ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় যাঁরা পুরোনো অলংকার বিক্রি করছেন, তাঁরাও লাভবান হচ্ছেন। তবে ২২ ও ২১ ক্যারেটের তুলনায় ১৮ ক্যারেট বা সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম কম হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। জুয়েলার্স প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হবে। দেশে এখনো প্রচুর পরিমাণে অলংকার ১৮ ক্যারেট বা সনাতন পদ্ধতির সোনায় তৈরি হয়।