ঢাকা রবিবার
১০ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৫ জুন ২০২৪

দুই জাঙ্ক কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের ২০০ কোটির বেশি ক্ষতি


নিউজ ডেস্ক
72

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০১৮
দুই জাঙ্ক কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের ২০০ কোটির বেশি ক্ষতি



স্টাফ রিপোর্টার:  রহিমা ফুডের মার্কেট ক্যাপিটালইজেশন বর্তমানে প্রায় ৩৫৬৮.০৩৬ মিলিয়ন বা বাংলাদেশী টাকায় তিনশত ছাপ্পান্ন কোটি আশি লাখ টাকা। ফ্রি ফ্লোট শেয়ার ধরে হিসেব করলে যার বর্তমান মূল্য দুইশত তেইশ কোটি তেতাল্লিশ লাখ টাকা। এই ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের মার্কেট ক্যাপিটালইজেশনের টাকা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী, ইনিস্টিটিউশনাল ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের (যদি ইনিস্টিটিউশনাল ও বিদেশী বিনিয়োগকারী থাকে)। সূত্র ডিএসই। আর মডার্ণ ডাইং অ্যান্ড স্ত্রিন প্রিন্টিং লিমিটেডের মার্কেট ক্যাপিটালইজেশন বর্তমানে প্রায় ৪১৩.১৩৬ মিলিয়ন বা বাংলাদেশী টাকায় একচল্লিশ কোটি একোত্রিশ লাখ ছত্রিশ হাজার টাকা। ফ্রি ফ্লোট শেয়ার ধরে হিসেব করলে যার বর্তমান মূল্য চৌদ্দ কোটি ছেচল্লিশ লাখ টাকা। রহিমা ফুড ও মডার্ণ ডাইং অ্যান্ড স্ত্রিন প্রিন্টিং লিমিটেডের বর্তমানে ফ্রি ফ্লোট শেয়ার ধরে হিসেব করলে মার্কেট ক্যাপিটালইজেশন মোট প্রায় দুইশত আটত্রিশ কোটি ছাব্বিশ লাখ টাকা। যার অর্থ এই দুইশত আটত্রিশ কোটি ছাব্বিশ লাখ টাকা বিনিয়োগকারীদের লস যাবে কোম্পানি দুইটি ডিএসই থেকে  ডিলিস্টিংয়ের (তালিকাচ্যুত) হওয়ার কারণে। তবে নামমাত্র কিছু টাকা দীর্ঘ ভোগান্তির পর ফেরত পাবে। আর  দুই কোম্পানির মোট (ফ্রি ফ্লোট শেয়ারসহ) মার্কেট ক্যাপিটালইজেশন বর্তমানে প্রায় তিনশত আটানব্বই কোটি এগারো লাখ টাকা। উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ ও উৎপাদন শুরু করার সম্ভাবনা না থাকায়, দীর্ঘদিন লোকসানে থাকা রহিমা ফুড ও মডার্ণ ডাইং অ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্টিংকে  বুধবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভায়  ডিলিস্টিংয়ের (তালিকাচ্যুত) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি দুটির শেয়ার নিয়ে করসাাজ চক্ররা সক্রিয়। যা বাজারকে  ক্ষতিগ্রস্থ করছিল বলে অনেকেই মনে করেন। আইনানুযায়ী কোম্পানির সকল দায়-দেনা পরিশোধের পর বাকী সম্পদ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বণ্ঠণ করা হবে। বাস্তবে কোম্পানি দুটির  সম্পদ আছে খুবই কম। ডিএসই প্রকাশিত তথ্যমতে মডার্ণ ডাইং অ্যান্ড স্ত্রিন প্রিন্টিং লিমিটেড নেট এ্যাসেট ভ্যালু আছে মাত্র ৪.৭৪ টাকা। আর রহিমা ফুড নেট এ্যাসেট ভ্যালু আছে মাত্র ২.৮২ টাকা। যেসব কোম্পানি উৎপাদনে বা ব্যবসায় নেই, দীর্ঘদিন লভ্যাংশ দিচ্ছে না, বছরের পর বছর আয় (ইপিএস) নেগেটিভ, নেট এ্যাসেট ভ্যালু (ন্যাভ) খুবই কম বা নেগেটিভ (পুঞ্জীভূত লোকসান আছে), ম্যানেজমেন্ট প্রতারণামূলক আচারণ করে বিনিয়োগের সাথে, প্রতারণামূলক ডিভিডেন্ট ঘোষাণা করে। তাদের কোম্পানির শেয়ারকে জাঙ্ক শেয়ার বলে। রহিমা ফুড ও মডার্ণ ডাইং অ্যান্ড স্ত্রিন প্রিন্টিং লিমিটেড তেমনই জাঙ্ক কোম্পানি। মডার্ণ ডাইং অ্যান্ড স্ত্রিন প্রিন্টিং লিমিটেড: কোম্পানিটির উৎপাদন ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ। ফ্যাক্টরীর জায়গা দীর্ঘমেয়াদে গোডাউনের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ডিএসইতে কোম্পানিটির সর্বশেষ বাজারমূল্য  ৩২৩ টাকা ১০ পয়সায়  থেকে ৩২৬ টাকা ৫০ পয়সায় মধ্যে উঠানামা করছে। গত এক বছরে ডিএসইতে এর সর্বনিম্ন দর ছিল ১৭২ টাকা ০০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৪২৫ টাকা ৮০ পয়সা। রহিমা ফুড : উৎপাদন বন্ধ রয়েছে ২০১৩ সালের ১৩ জুন থেকে। ডিএসইতে কোম্পানিটির সর্বশেষ বাজারমূল্য  ১৭৩ টাকা ১০ পয়সায়  থেকে ১৮১ টাকা ৫০ পয়সায় মধ্যে উঠানামা করছে। গত এক বছরে ডিএসইতে এর সর্বনিম্ন দর ছিল ১৩৪ টাকা ০০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ২০১ টাকা ৫০ পয়সা। আরও পড়ুন  বাড়ছে জাঙ্ক শেয়ারের কদর, রহস্য কী?

দুই জাঙ্ক কোম্পানি ডিএসই থেকে তালিকাচ্যুত

ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বাস্তব দুর্বলতা

আগে পুঁজির নিরাপত্তা তারপর লাভ

ডিভিডেন্ড কি? কখন কিনলে পাওয়া যায়?


আরও পড়ুন:

বিষয়: