ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৫ জুন ২০২৪

দুই জাঙ্ক কোম্পানি ডিএসই থেকে তালিকাচ্যুত


নিউজ ডেস্ক
59

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০১৮
দুই জাঙ্ক কোম্পানি ডিএসই থেকে তালিকাচ্যুত



স্টাফ রিপোর্টার: উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ ও উৎপাদন শুরু করার সম্ভাবনা না থাকায়, দীর্ঘদিন লোকসানে থাকা রহিমা ফুড ও মডার্ণ ডাইং অ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্টিংকে  বুধবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভায়  ডিলিস্টিংয়ের (তালিকাচ্যুত) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা আগামিকাল থেকে কার্যকর (ডিএসইতে লেনদেন স্থায়ীভাবে বন্ধ)। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক পরিচালক বলেন, মডার্ণ ডাইং ও রহিমা ফুডের উৎপাদন দীর্ঘদিন বন্ধ। কোম্পানি দুটির শেয়ার নিয়ে করসাাজ চক্ররা সক্রিয়। যা বাজারকে  ক্ষতিগ্রস্থ করছে। বিনিয়োগকারী আতাউর মনে করেন, ‘দুই জাঙ্ক কোম্পানি তালিকাচ্যুত, ক্ষতিগ্রস্ত হবে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী কিন্তু ভবিষ্যতে তারও বেশি বিনিয়োগকারী আরও বেশি ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে। এসব জাঙ্ক বা প্রতারক কোম্পানি আমাদের বাজার বা বিনিয়োগকারীদেরকে দেওয়ার কিছু নেই বরং তারা অবুঝ বিনিয়োগকারীদের লোভের ফাঁদে ফেলে ফকির করে”। যেসব কোম্পানি উৎপাদনে বা ব্যবসায় নেই, দীর্ঘদিন লভ্যাংশ দিচ্ছে না, বছরের পর বছর আয় (ইপিএস) নেগেটিভ, নেট এ্যাসেট ভ্যালু (ন্যাভ) খুবই কম বা নেগেটিভ (পুঞ্জীভূত লোকসান আছে), ম্যানেজমেন্ট প্রতারণামূলক আচারণ করে বিনিয়োগের সাথে, প্রতারণামূলক ডিভিডেন্ট ঘোষাণা করে। তাদের কোম্পানির শেয়ারকে জাঙ্ক শেয়ার বলে। রহিমা ফুড ও মডার্ণ ডাইং অ্যান্ড স্ত্রিন প্রিন্টিং লিমিটেড তেমনই জাঙ্ক কোম্পানি। মডার্ণ ডাইং অ্যান্ড স্ত্রিন প্রিন্টিং লিমিটেড: কোম্পানিটি ১৯৮৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির উৎপাদন ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ। ২০১০ সালের ৩ আগস্ট বিশেষ সাধারন সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে ফ্যাক্টরীর জায়গা দীর্ঘমেয়াদে গোডাউনের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ডিএসইতে কোম্পানিটির সর্বশেষ বাজারমূল্য  ৩২৩ টাকা ১০ পয়সায়  থেকে ৩২৬ টাকা ৫০ পয়সায় মধ্যে উঠানামা করছে। গত এক বছরে ডিএসইতে এর সর্বনিম্ন দর ছিল ১৭২ টাকা ০০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৪২৫ টাকা ৮০ পয়সা। রহিমা ফুড : কোম্পানিটি ১৯৯৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।  উৎপাদন বন্ধ রয়েছে ২০১৩ সালের ১৩ জুন থেকে। ডিএসইতে কোম্পানিটির সর্বশেষ বাজারমূল্য  ১৭৩ টাকা ১০ পয়সায়  থেকে ১৮১ টাকা ৫০ পয়সায় মধ্যে উঠানামা করছে। গত এক বছরে ডিএসইতে এর সর্বনিম্ন দর ছিল ১৩৪ টাকা ০০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ২০১ টাকা ৫০ পয়সা। আইনানুযায়ী কোম্পানির সকল দায়-দেনা পরিশোধের পর বাকী সম্পদ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বণ্ঠণ করা হবে। বাস্তবে কোম্পানি দুটির  সম্পদ আছে খুবই কম। ডিএসই প্রকাশিত তথ্যমতে মডার্ণ ডাইং অ্যান্ড স্ত্রিন প্রিন্টিং লিমিটেড নেট এ্যাসেট ভ্যালু আছে মাত্র ৪.৭৪ টাকা। আর রহিমা ফুড নেট এ্যাসেট ভ্যালু আছে মাত্র ২.৮২ টাকা।

আরও পড়ুন:

বিষয়: