দেখতে হবে এই আপাত মন্দার বাজারেও কোন কোন কোম্পানি ভাল ফল উপহার দিচ্ছে। বস্তুত, বিনিয়োগের জন্য ফান্ড নিয়ে বসে আছেন বহু মানুষ। কিন্তু আরও নামতে পারে এই ভয়ে কিনতে পারছেন না। অনেক ভাল শেয়ার অনেকটা সস্তা হলেও, বাই দিচ্ছেন না। বাজারের বর্তমান অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগকারীরা কী কী পদক্ষেপ নিতে পারেন তা দেখে নেওয়া যাক। ১. যারা শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চান, তারা ফান্ড নিয়ে অপেক্ষা করুন। সাময়িক ভাবে টাকা রাখা যেতে পারে সেভিংস ফান্ড অ্যাকাউন্টে বা লিকুইড ফান্ডে। যে-সব শেয়ার কিনতে চান, তার নীচের দিকের দামের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করুন। দেখুন স্টকটি ভাল সার্পোট পেয়েছে কিনা? আন্ডাভ্যালুড হয়েছে কিনা? দাম অভীষ্ট জায়গায় নামলে তুলে নিন পছন্দের শেয়ার। এই রকম হতাশাপূর্ণ বাজারে যারা সঠিক দাম ভাল কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করেন, তারাই দীর্ঘ মেয়াদে বড় লাভ করেন। এই বাজারে কেনা যেতে পারে উঁচু ডিভিডেন্ড ইল্ড-যুক্ত শেয়ার। ২. ডাইনট্রেন্ডে যাওয়া শেয়ারগুলি থেকে বিনিয়োগ উঠিয়ে ভাল সার্পোট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভাল। ঝুঁকির ব্যাপারে বেশি চিন্তা হলে ব্যালান্সড ফান্ড বা ঋণ-নির্ভর ফান্ডে (ডেট ফান্ড) বিনিয়োগ করতে পারেন। কর সাশ্রয়ের জন্য বিনিয়োগ করতে পারেন কর সাশ্রয় আছে যে সব স্থানে। ৩.বর্তমান বাজারে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক হতে পারে। আমাদের মার্কেটে মিউচুয়াল ফান্ড অনেক ডিসকাউন্ডে বিক্রয় হচ্ছে। ক্যাশ লভ্যাংশ দেওয়া মিউচুয়াল ফান্ড ক্রয় করবেন। বোনাস দেওয়া মিউচুয়াল ফান্ড এড়িয়ে যাওয়া ভাল। প্রবীণ নাগরিকেরা বিনিয়োগ করতে পারেন ডাকঘরের সিনিয়র সিটিজেন্স সেভিংস প্রকল্পে। ৪. ব্যাংক ও আর্থিকখাতের অবস্থা ভাল না হলেও বাংলাদেশের নির্মাণ শীল্পে ও ফার্মাসিটিক্যাল সেক্টরে বিক্রি বাড়ছে। চাহিদা বাড়ায় নির্মাণ শীল্প ছাড়াও নজর রাখা যায় এর সহযোগী কিছু শিল্পের শেয়ারে। চোখ রাখা যেতে পারে বহু দিন ধরে ঝিমিয়ে থাকা জ্বালনী সেক্টরে। বাজেটকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা হতে পারে সেক্টরটি। ৫. পুরনো বিনিয়োগকারীরা বর্তমান বাজারের সুযোগ নিয়ে নিজের পোর্টফোলিও ঢেলে সাজাতে পারেন। অর্থাৎ বিনিয়োগ সরিয়ে নিতে পারেন শুধু সম্ভাবনাময় ভাল শেয়ারে— বাজার উঠতে শুরু করলে যে-সব শেয়ার দ্রুত ঊর্ধ্বগতি পাবে। ৭. জুনে বাজেট পেশ। অর্থাৎ বেশ ভাল রকম উত্তেজনা থাকবে নিন্মমূখি বাজারেও। সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে বিনিয়োগদের। ৬. উঁচু হারে করদাতারা দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করতে পারেন করমুক্ত বন্ডে। বিনিয়োগের ভাল-লস ব্যক্তির নিজেস্ব তাই বিনিয়োগ সিদ্ধান্তগুলোও ভেবে-চিন্তে ব্যক্তিগত দায় নিয়েই করতে হবে।