সম্ভাব্য সেই পাঁচ জয়ের তিনটি ধরা দিয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ ভাসিয়ে নিয়েছে বৃষ্টি। লক্ষ্য পূরণের শেষ ধাপ পাকিস্তানকে হারানো। সেমি-ফাইনালের ভেঙে যাওয়া স্বপ্ন তাতে জোড়া লাগবে না। তবে নিজেদের কাজটুকু করতে পারার স্বস্তি থাকবে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় আরেকটি দিক থেকেও বেশ জরুরি। পয়েন্ট টেবিলের ৫ নম্বরে থাকা। নিজেদের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালে এবং পরদিন ভারতের কাছে শ্রীলঙ্কা হারলে বাংলাদেশই থাকবে পাঁচে। শীর্ষ চারের বাইরে এই অবস্থানগুলোর মূল্য হয়তো এমনিতে সামান্যই আছে। তবে বিশ্বকাপের মতো আসরে বিরুদ্ধ কন্ডিশেনে পঞ্চম সেরা দল হতে পারলে, বাংলাদেশের জন্য সেই অর্জন কম কিছু হবে না।
সেমি-ফাইনালে উঠতে না পারলেও এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলা বেশ নজর কেড়েছে ক্রিকেটে কুলীন দেশগুলির। ধারাভাষ্যকক্ষে, সাবেকদের বিশ্লেষণে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা পেয়েছে দল। যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলে নিজেদের ছাপ রেখেছে দল, আদায় করে নিয়েছে স্তুতি, শেষ ম্যাচেও নিজেদের সেই ঘরানার ক্রিকেটের সেরাটা দেখাতে চাইবে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে এক আসরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি জয় ২০০৭ ও ২০১৫ আসরে, তিনটি করে। এবার তিনটি জয় পাওয়া হয়ে গেছে এর মধ্যেই। শেষ ম্যাচে হাতছানি নতুন রেকর্ডের।
সব মিলিয়ে আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ থেকেও পাওয়ার আছে অনেক কিছু। বাংলাদেশ এখন বিশ্ব ক্রিকেটে যে পথ ধরে হাঁটছে, এরকম একটি টুর্নামেন্ট কাটানো বা একটি বেশি জয়, দলকে দেবে আরও এগিয়ে চলার বিশ্বাস।
সবচেয়ে বড় কথা, শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে মাথা উঁচু করেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে পারবে বাংলাদেশ। পাওয়ার তাই এখনও অনেক কিছু আছে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপেরও কিছুটা আছে বাকি।