চমৎকার এক ডেলিভারিতে রাহুলকে বোল্ড করে ৬৯ রানের জুটি ভাঙেন জেসন হোল্ডার। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে বিজয় শঙ্কর ও কেদার যাদবকে কট বিহাইন্ড করে ভারতকে চাপে ফেলে দেন রোচ। কেদারকেও রিভিউ নিয়ে ফিরিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা।
১৪০ রানে ৪ উইকেট হারানো ভারতের অবস্থা হতে পারতো আরও খারাপ। ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের বলে ৭ রানে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে স্টাম্পিং করার সুযোগ অবিশ্বাস্যভাবে হাতছাড়া করেন শেই হোপ।
শুরুতে সময় নেন ধোনি। সে সময় রানের চাকা সচল রাখেন কোহলি। হোল্ডারের প্রত্যাশার চেয়ে কম বাউন্স করা বলে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে অধিনায়ক ফিরলে বড় একটা ধাক্কা খায় ভারত। ৮২ বলে ৮ চারে ৭২ রান করেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে শচীন টেন্ডুলকার ও ব্রায়ান লারাকে ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম ২০ হাজার রানের রেকর্ড গড়েন তিনি।
ক্রিজে গিয়েই শট খেলতে শুরু করা পান্ডিয়া রানের গতিতে দম দেওয়ার কাজটা করেন। ধীরে ধীরে শট খেলতে শুরু করেন ধোনি। ষষ্ঠ উইকেটে তারা গড়েন ৭০ রানের জুটি।
শেলডন কটরেলকে ওড়ানোর চেষ্টায় সীমানায় ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় অলরাউন্ডার পান্ডিয়ার ৪৬ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস। ওশান টমাসের করা ম্যাচের শেষ ওভারে দুই ছক্কা ও এক চারে ১৬ রান নিয়ে দলকে ২৬৮ পর্যন্ত নিয়ে যান ধোনি। ৬১ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন অভিজ্ঞ এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৫০ ওভারে ২৬৮/৭ (রাহুল ৪৮, রোহিত ১৮, কোহলি ৭২, শঙ্কর ১৪, কেদার ৭, ধোনি ৫৬*, পান্ডিয়া ৪৬, শামি ০, কুলদীপ ০*; কটরেল ১০-০-৫০-২, রোচ ১০-০-৩৬-৩, টমাস ৭-০-৬৩-০, অ্যালেন ১০-০-৫২-০, হোল্ডার ১০-২-৩৩-২, ব্র্যাথওয়েট ৩-০-৩৩-০)