ঢাকা রবিবার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১০ আগস্ট ২০২১

চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব–১৫ ফাইনালে বাংলাদেশ


নিউজ ডেস্ক
137

প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০১৮
চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব–১৫ ফাইনালে বাংলাদেশ



স্টাফ রিপোর্টার:  এক বছর আগে এই নেপালেই কান্নায় বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশের কিশোররা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে নেপালের কাছে হেরেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। চিরচেনা মঞ্চে আবারও ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ কিশোররা। তবে এবার প্রতিপক্ষ ছিল আলাদা। নেপাল নয়, বাংলাদেশ মাঠে নামে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে। তাতে ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ। আগামী ৩ নভেম্বর শনিবার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান । বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১টায় নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে ম্যাচটি শুরু হয়। খেলার ১৭ মিনিটের মাথায় হার্শ শৈলাসের গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা এগোলেও বাংলাদেশকে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি কিক থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান বদলি ফরোয়ার্ড আশিকুর রহমান। শেষ পর্যন্ত যোগ করা সময়ে (৯৩ মিনিট) পেনাল্টি থেকে আসে সমতাসূচক গোল। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ম্যাচটি ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়। এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ দল গেলবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে উঠে গেছে ফাইনালে।
স্নায়ুক্ষয়ী টাইব্রেকারে গোলরক্ষক মেহেদি হাসানের বীরত্বে জিতেছে বাংলাদেশ।ভারতের প্রথম দুটি শট ঠেকিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেহেদি হাসান। প্রথম তিনটি শটে গোল করেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। চতুর্থ শটে রুস্তম ইসলাম গোল করলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়।
[caption id="attachment_6183" align="alignnone" width="720"] মেহেদী হাসানের দূর্দন্ত ড্রাইভ[/caption]
এর আগে ২০১৫ সালে প্রথম কিশোর সাফের ফাইনালে এই ভারতকে হারিয়েই শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।সিলেটে অনুষ্ঠিত আসরে টাইব্রেকারে শেষ হাসি হেসেছিল বাংলার ফুটবলাররা। তিন বছর পর বয়সভিত্তিক এই আসরে আবারও মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ভারত। কম প্রস্তুতি নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধারের মিশনে নেপাল যাওয়া মেহেদি হাসানদের জন্য ফাইনালের পথে বাধা হতে পারেনি ভারত। গতবারের মতো এবার আর শেষ চারে থেমে যেতে হলো না মোস্তফা আনোয়ার পারভেজের দলের। নেপালের বিপক্ষে গ্রুপসেরা ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি দলের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক মিতুল মারমা। তবে তার জায়গায় গোলবারের নিচে যিনি দাঁড়ান তিনিই ট্রাইব্রেকার হিরো হয়ে দলকে নিয়ে গেলেন ফাইনালে। ম্যাচের ১৭ মিনিটেরে মাথায় গোল করে এগিয়ে যায় ভারত। ওই গোলেই তারা ফাইনাল দেখছিল। কিন্তু বাংলাদেশের কিশোররা হাল ছাড়েনি। ম্যাচের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি পেয়ে যায় লাল-সবুজের দল। তাতে গোল করে ১-১ গোলের সমতা করে। এরপর টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালে উঠে যায় মেহেদি হাসানরা। আগামী ৩ নভেম্বর ফাইনালে নেপাল বা পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন:

বিষয়: