‘ব্যাংক বন্ধের সাথে শেয়ারবাজার বন্ধের ট্রাডিশন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে’
নিউজ ডেস্ক
151
প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২১
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিনিয়োগকারীরা আগের তুলনায় এখন অনেক স্মার্ট। তারা এখন আর অন্যের দেখাদেখিতে সবাই ক্রয় বা বিক্রয় করে না। এছাড়া ১টি আইটেমের পরিবর্তে অনেকগুলো দিয়ে পোর্টফোলিও সাজায়।
রবিবার, ২৯ আগস্ট ‘রোল অব স্মার্ট ইনভেস্টর অ্যান্ড মার্কেট সার্ভেইল্যান্স’ শীর্ষক গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে সমাপনি বক্তব্য রাখেন আরেক কমিশনার মো. আব্দুল হালিম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সাধারন সম্পাদক মো. মনির হোসেন।
শেখ সামসুদ্দিন বলেন, শেয়ারবাজারের বিভিন্ন ইস্যুতে ধারাবাহিকভাবে গণশুনানি করা হচ্ছে। যা কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এখান থেকে অনেক করণীয় বিষয় উঠে আসে।
তিনি বলেন, আমাদেরকে প্রযুক্তিতে আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারন এখনো আমাদেরকে ব্যাংক বন্ধ রাখলে, শেয়ারবাজার বন্ধ রাখতে হয়। এটা একটি ট্রাডিশন হয়ে গেছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। একইসঙ্গে ২৪ ঘন্টা লেনদেনের ব্যবস্থা করতে হবে।
রেগুলেটরদের সার্ভেল্যান্স নিয়ে কেউ কেউ অনুষ্ঠানে প্রশ্ন তুলেন। এক্ষেত্রে বিদ্যমান সক্ষমতার মধ্যেই সঠিকভাবে সার্ভেল্যান্স ব্যবহার না করা, কারসাজিকারীকে আয়ের থেকে শাস্তি কম প্রদানকে শেয়ারবাজারের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা বলে তুলে ধরেন। উদাহরন হিসেবে দৈনিক যুগান্তরে প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের কারসাজিকারদের বিস্তারিত তুলে ধরলেও রেগুলেটরদের সার্ভেইল্যান্সে ধরা না পড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।
অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, একজন বিনিয়োগকারীকে স্মার্ট হতে গেলে কিছু গুণাবলি থাকতে হবে। এরমধ্যে বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ার ব্যবসায় ব্যয়ের বিষয়ে জানতে হবে, রিস্ক কমানোর দক্ষতা থাকতে হবে, লোভ দূর করতে হবে, পুরো টাকা এক খাতে বিনিয়োগের পরিবর্তে কয়েক খাতে বিনিয়োগ করতে হবে এবং সর্বোপরি একটি আর্থিক পরিকল্পনা করতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, একটি কোম্পানির পিএসআই প্রকাশের আগে কারা সেই কোম্পানির শেয়ার কিনে এবং তাদের সঙ্গে কোম্পানির কি সর্ম্পক্য তা খুজঁতে হয়।
এজন্য আমাদেরকে অনেক তথ্য যাচাই করতে হয়। কিন্তু যদি এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেত, যে সফটওয়্যার বলে দেবে সন্দেহজনক লেনদেনের ব্যক্তিদের নাম। তাহলে কারসাজিকারদের শনাক্ত করা সহজ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:
প্রথম সংবাদ সম্পর্কিত আরও
অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমিরাতের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
১৩ জুন ২০২৪
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো বাংলাদেশ ফাইন্যান্স
১২ জুন ২০২৪
পুঁজিবাজার গতিশীল রাখতে ভালো আইপিওর বিকল্প নেই: ডিবিএ প্রেসিডেন্ট
১১ জুন ২০২৪
ডিএনএ লজিক ডিজাইনের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে ড. হাসান বাবুর আন্তর্জাতিক প্রকাশনা
১০ জুন ২০২৪
মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
০৮ জুন ২০২৪
অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর কমলো
০৬ জুন ২০২৪