হঠাৎ করেই প্রবাসী আয় কমেছে
নিউজ ডেস্ক
372
প্রকাশিত: ০৩ আগস্ট ২০২১
পরপর রেকর্ড গড়ার পর হঠাৎ করেই প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স কমেছে। জুলাইয়ে দেশে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছে। যা তার আগের মাস জুনের চেয়ে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার কম। এছাড়া আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে এটি প্রায় ২৮ শতাংশ কম।
সোমবার, ০২ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, সদ্য সমাপ্ত জুলাই মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার (১.৮৭ বিলিয়ন) রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১৫ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় ২৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ কম। গত বছরের জুলাইয়ে রেমিটেন্স এসেছিল ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেও কয়েকটি কারণে রেমিটেন্স বেড়েছে। এর মধ্যে অন্যতম মহামারিতে অনেক প্রবাসী কাজ হারায়, আবার অনেকে কাজ হারানোর শঙ্কায় পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে প্রবাসীদের সঞ্চিত অর্থ যাই ছিল তা দেশে পাঠিয়েছে। আবার দেশে টানা লকডাউন ও বিধিনিষেধের কারণে প্রবাসীদের অনেক পরিবার আত্মীয়-স্বজন আর্থিক সংকটে পড়ে। তাদের জন্যও টাকা পাঠায়। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে দুই শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ায় বৈধ চ্যানেলে দেশে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। এসব কারণে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছিল।
তবে এখন করোনার তৃতীয় ধাক্কা চলছে। অনেক দেশ লকডাউন দিয়েছে। ফলে প্রবাসী শ্রমিকদের আয় কম। এছাড়া জমানো অর্থ যা ছিল তাও ফুরিয়ে গেছে। তাই রেমিটেন্স পাঠানো কিছুটা কমেছে। তবে আরও কয়েক মাস পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাবে সামনের অবস্থা। কারণ এক মাসে রেমিটেন্স কিছুটা কমলেও যদি প্রবাসীদের কাজ ঠিক থাকে তাহলে আগামীতে বাড়বে বলে মনে করেন সাবেক গভর্নর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিটেন্স আহরিত হয়েছে ৪৩ কোটি ১৮ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ২২ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪০ কোটি ১২ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬১ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
বরাবরের মতো বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আহরিত হয়েছে। ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিটেন্স আহরিত হয়েছে ৫৫ কোটি মার্কিন ডলার। এছাড়া ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২২ কোটি ৯১ লাখ ডলার রেমিটেন্স। অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯ কোটি ৪৮ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার এবং জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৯২ লাখ ডলার রেমিটেন্স আহরিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিটেন্স দেশে আসে। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিটেন্স আসেনি বাংলাদেশে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। অর্থবছর হিসাবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আহরণ। তারও আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিটেন্স আহরণের রেকর্ড হয়। ওই সময় এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিটেন্স আসে দেশে।
সূত্র : অর্থসূচক
আরও পড়ুন:
অথনীতি সম্পর্কিত আরও
প্রচ্ছন্ন রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা চায় বিজিএপিএমইএ
১৩ জুন ২০২৪
ক্যাপিটাল গেইনে কর আরোপ প্রস্তাব থাকছেনা চূড়ান্ত বাজেটে
১২ জুন ২০২৪
ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
১১ জুন ২০২৪
ইউরোপসহ ৩৮ দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের আম
১০ জুন ২০২৪
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবেন: অর্থমন্ত্রী
০৮ জুন ২০২৪
৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ আজ
০৬ জুন ২০২৪