বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলে ধরে বিনিয়োগ টানতে আজ সোমবার, ২৬ জুলাই থেকে ২ অগাস্ট এই চারটি বিনিয়োগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত বললেন, অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এখন পৃথিবীর অনেক দেশে থেকেই বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিযোগ করতে চাচ্ছে। সারা বিশ্বের চোখ এখন বাংলাদেশে। বাংলাদেশে কীভাবে বিনিয়োগ করা যাবে, সেটা এখন শুধু বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরতে হবে।
“সেখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) আমাদের টার্গেট গ্রুপ দুটি। প্রথমত নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশি। তারা যুক্তরাষ্ট্রে আয় থেকে যে সঞ্চয় করছেন, সেটা সেখানে বিনিয়োগ করে ভালো রিটার্ন পাচ্ছেন না। বাংলাদেশে যেহেতু নিটা (নন-রেসিডেন্ট ইনভেস্টরস টাকা অ্যাকাউন্ট) অ্যাকাউন্ট হয়ে গেছে। বাংলাদেশ থেকে লাভসহ বিনিয়োগ ফেরত নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে। এই সুযোগটা নিয়ে কথা বলতে আমরা যাচ্ছি।”
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ‘টার্গেট গ্রুপ’ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী গোষ্ঠী।
অধ্যাপক শিবলী বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের একটি সঙ্ঘ ৫টি দেশকে বিনিয়োগের লক্ষ্য হিসেবে ঠিক করেছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম দিকে রয়েছে।
“বাংলাদেশে তারা তাদের বিনিয়োগের মোট টাকার ১৭ শতাংশ বিনিয়োগ করতে চায়। এ ধরনের বিদেশিদের কাছ থেকে আমরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ আনতে চাই।”
বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেট ছাড়াও বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ও কমোডিটি মার্কেটকে বিদেশি বিনিয়োগের লক্ষ্য হিসেবে ধরা হয়েছে বলে বিএসইসি চেয়ারম্যান জানান।
তিনি বলেন, তাদের সামনে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডসহ অন্য ‘প্রডাক্টগুলোও’ তুলে ধরা হবে। যাতে তারা শুধু ‘সেকেন্ডারি মার্কেটে’ দৃষ্টি নিবদ্ধ না রাখে। অন্যান্য ‘প্রডাক্টের’ দিকে আস্তে আস্তে চলে আসে।
“সামনে বাংলাদেশের বন্ড মার্কেট হবে খুবই শক্তিশালী। বন্ড আমাদের পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বন্ডে বাইরের বিনিয়োগটা আমাদের অর্থনীতিকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
এছাড়া বাংলাদেশ বিভিন্ন ‘ডেরিভেটিভস’ ও ‘কমোডিটি’ মার্কেট নিয়েও কাজ করছে জানিয়ে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, “এখন বাংলাদেশে স্বর্ণ কমোডিটি হিসেবে আনা যাচ্ছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) স্বর্ণ নিয়ে কাজ করছে। আমরা এদিকেও ড্রাইভ দেব। সেজন্য সামনে আমাদের বড় বড় বিনিয়োগকারী লাগবে।
“আমরা মনে করি, সেকেন্ডারি মার্কেট একমাত্র বাজার নয়, যেখানে বিনিয়োগের সুযোগ আছে। আমাদের দেশে বিনিয়োগের এখন বড় বড় ক্ষেত্র তৈরি হয়ে গেছে।”
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বিনিয়োগ সম্মেলন করবে বিএসইসি। নিউ ইয়র্ক ইন্টারকন্টিনেন্টাল বার্কলে হোটেলে সকালে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এবং বিকালে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশিদের সঙ্গে বসবে বিএসইসি।
২৮ জুলাই ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিয়ে সম্মেলন হবে।
৩০ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে সম্মেলন করবে বিএসইসি। ইন্টারকন্টিনেন্টাল লস এঞ্জেলেস ডাউনটাউন হোটেলে সকালে বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং বিকালে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশিদের সঙ্গে বসবে বিএসইসি।
২ অগাস্ট সান ফ্রান্সিসকোতে বিএসসি বসবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে।
সূত্র : বিডি নিউজ