ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৬ জুন ২০২৪

এপ্রিলে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫০৩ শতাংশ, তবে...


নিউজ ডেস্ক
297

প্রকাশিত: ০৩ মে ২০২১
এপ্রিলে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫০৩ শতাংশ, তবে...



পণ্য রপ্তানিতে নতুন মাইলফলক দেখল বাংলাদেশ। গত মাসে ৩১৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ৫০২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। অবশ্য এতে উচ্ছ্বসিত হওয়ার তেমন কিছু নেই। কারণ, করোনার প্রথম ঢেউয়ে গত বছরের এপ্রিলে পণ্য রপ্তানি বড় ধরনের হোঁচট খায়। রপ্তানি নেমে যায় ৫২ কোটি ডলারে। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পণ্য রপ্তানি। মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও সেটি অব্যাহত আছে। করোনার কারণে গত বছরের এপ্রিলে সাধারণ ছুটির কারণে অধিকাংশ শিল্পকারখানা তিন সপ্তাহের মতো বন্ধ ছিল। সে কারণে রপ্তানি ব্যাপকভাবে কমে যায়। চলতি বছর করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার গত মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করলেও তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানার উৎপাদন চালানোর সুযোগ দেয়। তাই রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। যেহেতু গত বছরের এপ্রিলে রপ্তানি তলানিতে নেমেছিল, তাই এবার প্রবৃদ্ধি আকাশছোঁয়া। যদিও ২০১৯ সালের এপ্রিলে ৩০৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। তার তুলনায় গত মাসে রপ্তানি বেড়েছে ১ দশমিক ৬২ শতাংশ। পণ্য রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ তথ্য আজ রোববার প্রকাশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, তৈরি পোশাক, পাট ও পাটপণ্য, চামড়া ও চামড়াপণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্লাস্টিক পণ্য, রাসায়নিক পণ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় ফেরার কারণেই সার্বিকভাবে পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে হিমায়িত খাদ্যের রপ্তানি কমেছে। সার্বিকভাবে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৩ হাজার ২০৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। এতে চলতি বছর টানা চার মাস পর ইতিবাচক ধারায় ফিরল পণ্য রপ্তানি আয়। অবশ্য চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে আরও ৮৯৩ কোটি ডলার প্রয়োজন। মে ও জুন মাসে এই পরিমাণ রপ্তানি অসম্ভব। কারণ, গত ১০ মাস গড়ে ৩২০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। তার আগের বছর রপ্তানি হয়েছিল ৪ হাজার ৫৩ কোটি ডলারের পণ্য। তৈরি পোশাকের রপ্তানি আবার ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। আলোচ্য সময়ে নিট পোশাকের রপ্তানি ১৫ শতাংশ বাড়লেও ওভেন পোশাকের রপ্তানি কমেছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ।

আরও পড়ুন:

বিষয়: