ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৬ জুন ২০২৪

লভ্যাংশের লাগাম খুলতে বিবির সাথে বিএসইসির বৈঠক শুরু


নিউজ ডেস্ক
232

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২১
লভ্যাংশের লাগাম খুলতে বিবির সাথে বিএসইসির বৈঠক শুরু



স্টাফ রিপোর্টার : পুঁজিবাজারে চলছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণার মৌসুম। এর মধ্যে হুট করে বাংলাদেশ ব্যাংক বেঁধে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য লভ্যাংশ হার বা সীমা। অভিযোগ রয়েছে, বিএসইসির সঙ্গে আলোচনা না করেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমন অবস্থায় লভ্যাংশের লাগাম খুলতে বৈঠকে বসেছে বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। সোমবার, ১৫ মার্চ দুপুর ১২টায় বিএসইসি কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব বিষয়ে বিএসইসির সঙ্গে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রে জানা গেছে। ভবিষ্যতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে করণীয় নিয়েও আলোচনা হবে এ সময়। এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, বৈঠকে মুদ্রা বাজার ও পুঁজিবাজার উন্নয়নে আলোচনা হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে একজন ডেপুটি গভর্নর ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের দু’জন নির্বাহী পরিচালক উপস্থিত রয়েছেন বলে সূত্রে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিএসইসির সঙ্গে সমন্বয় করে নেয়ার কথা বলা হয়েছিল ২০১৫ সালে। কিন্তু এবার লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিএসইসির সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নগদ লভ্যাংশের হার ১৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে লভ্যাংশ ঘোষণায় নতুন নীতিমালাসংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে শনিবার, ১৩ মার্চ ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক সংলাপ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের সাথে আলোচনা না করেই কিছু কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এ বিষয়ে আমরা দেশের সর্বোচ্চ মহলের সঙ্গে কথা বলেছি। তার নির্দেশেই আমি গভর্নরের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি হাইপ্রোফাইল টিম বিএসইসিতে আসছে। বৈঠকে আমরা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যাতে আমরা ভবিষ্যতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারি। পাশাপা‌শি কোনো রেগুলেটরি সিদ্ধান্ত যেন কারো অসুবিধার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।

আরও পড়ুন:

বিষয়: