আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশাসনের রূপরেখা চান শীর্ষ নির্বাহীরা
নিউজ ডেস্ক
161
প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে পুরো খাতের সুশাসন প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তাই এ খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে একটি রূপরেখা চেয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীরা (এমডি)। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তারল্য সংকট দূর করতে ৭ শতাংশ সুদে সাত হাজার কোটি টাকার তহবিল চাওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের বৈঠকে এসব দাবি জানানো হয়।বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির, মহাব্যবস্থাপক মো. জুলকার নাইন উপস্থিত ছিলেন।
জানা জানা, বৈঠকের শুরুতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে কী কী সমস্যা আছে এবং এটা থেকে উত্তোরণে কী করণীয় তা প্রধান নির্বাহীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তারল্য সমস্যা এবং এটা কিভাবে সমাধান করা যায়, বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মে যেগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ, সেগুলো কিভাবে পুনর্গঠন করা যায়, এনবিআইএফগুলো যাতে অযথা উচ্চ সুদের অফার দিয়ে গ্রাহকের কাছে এসএমএস না পাঠায়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ কমিটি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসা মডেলে এনবিআইএফগুলো আর কী কী সুবিধা পেতে পারে—এসব বিষয় উঠে আসে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) সভাপতি ও আইপিডিসির এমডি মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অনিয়মের কারণে পুরো খাতে যে আস্থার সংকট হয়েছে, সেটা একদিনে দূর হবে না। এ খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে আমরা একটি রূপরেখা প্রণয়নের কথা বলেছি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে এই রূপরেখা তৈরি করা—যাতে দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি সামনের দিনগুলোতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে কী ধরনের শাস্তি এবং আমানতকারীদের অর্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। প্রস্তাবগুলো ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে লিখিত আকারে পাঠাব। তারপর হয়তো যৌথ কমিটি বসে পর্যালোচনা করে দেখবে।’
দেশে বর্তমানে ৩৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের কারণে ছয়-সাতটি চরম সংকটের মধ্যে আছে। এর একটি হলো পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিসেস। আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে অবসায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টসহ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানও আমানতকারীদের অর্থ যথাসময়ে ফেরত দিতে পারছে না। বৈঠকে এই প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের পক্ষ থেকে। ঘুরে দাঁড়াতে তিন হাজার কোটি টাকার তহবিল চাওয়া হয়েছে। এগুলোর বাইরে ভালো ১০-১২টি বাদে যেসব প্রতিষ্ঠান তারল্য সংকটে রয়েছে, তাদের জন্য আলাদাভাবে ৭ শতাংশ সুদে চার হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমস্যা এবং এটা থেকে উত্তোরণে কী করা যায় সেসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
প্রথম সংবাদ সম্পর্কিত আরও
অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমিরাতের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
১৩ জুন ২০২৪
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো বাংলাদেশ ফাইন্যান্স
১২ জুন ২০২৪
পুঁজিবাজার গতিশীল রাখতে ভালো আইপিওর বিকল্প নেই: ডিবিএ প্রেসিডেন্ট
১১ জুন ২০২৪
ডিএনএ লজিক ডিজাইনের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে ড. হাসান বাবুর আন্তর্জাতিক প্রকাশনা
১০ জুন ২০২৪
মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
০৮ জুন ২০২৪
অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর কমলো
০৬ জুন ২০২৪