কোম্পানি নিবন্ধন থেকে বিলুপ্তি কোন কাজে, কত মাশুল
নিউজ ডেস্ক
151
প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
নতুন কোম্পানির ছাড়পত্র ও নিবন্ধন থেকে শুরু করে বর্তমান কোম্পানির বিলুপ্তি—এর মাঝখানে অনেক ধাপ রয়েছে। প্রতিটি ধাপেই আছে নানা ধরনের মাশুল বা ফি। মাশুলেরও রয়েছে আবার বিভিন্ন ধরন। যেমন নামের ছাড়পত্রের আবেদন, নিবন্ধন, স্ট্যাম্প, সনদ, ডিজিটাল সনদ, রিটার্ন ফাইলিং, নিবন্ধন বই পরিদর্শন ইত্যাদি। জেনে নেওয়া যাক, কোম্পানির কোন কাজে কত মাশুল দিতে হয় সরকারকে। আর সরকার এসব থেকে বছরে আয়ই–বা করে কত টাকা।
প্রথমেই দেখা যাক, নামের ছাড়পত্র আবেদনের জন্য কী কী মাশুল রয়েছে। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি, পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি (পিএলসি), অংশীদারি কারবার ও বাণিজ্য সংগঠনের প্রস্তাবিত প্রতিটি নামের ছাড়পত্রের জন্য মাশুল রয়েছে ২০০ টাকা করে। তবে সমিতির (সোসাইটি) প্রস্তাবিত প্রতিটি নামের ছাড়পত্রের জন্য মাশুল আবার এক হাজার টাকা। কোম্পানির নামের ছাড়পত্র ৩০ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকে, সমিতির ক্ষেত্রে তা অবশ্য ১৮০ দিন। তবে বিদেশি কোম্পানি নিবন্ধনের জন্য নামের ছাড়পত্রের প্রয়োজন নেই।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের (আরজেএসসি) কার্যালয় হচ্ছে দেশের একমাত্র কার্যালয়, যা দেশের আইন অনুযায়ী কোম্পানি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গঠনের সুবিধা দেয় এবং এগুলোর মালিকানা–সম্পর্কিত সব ধরনের নথিপত্র সংরক্ষণ করে।
আরজেএসসি সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৫টি প্রতিষ্ঠান আরজেএসসিতে নিবন্ধিত হয়েছে। এর মধ্যে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ৩ হাজার ৫৩২টি, আর প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি এক লাখ ৭৫ হাজার ৯৩২, বিদেশি ৯৩২, অংশীদারি ৪৯ হাজার ১৮০, বাণিজ্য সংগঠন ১ হাজার ১২১ এবং সমিতি ১৪ হাজার ৯৫৮টি।
প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি
সংঘস্মারকের জন্য স্ট্যাম্প মাশুল রয়েছে নির্ধারিত এক হাজার টাকা। তবে সংঘবিধির জন্য স্ট্যাম্প মাশুল নেওয়া হয় তিনটি শ্রেণিতে। যেমন ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুমোদিত মূলধনের জন্য মাশুল তিন হাজার টাকা। ২০ লাখ টাকার বেশি থেকে ছয় কোটি টাকা পর্যন্ত মাশুল আট হাজার টাকা। আর ছয় কোটি থেকে ওপরে যত বেশিই হোক না কেন, সে জন্য ২০ হাজার টাকা। তবে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুমোদিত মূলধনের ক্ষেত্রে কোনো মাশুল লাগে না।
প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নিবন্ধনের জন্যও মাশুল আছে। সংঘস্মারক, সংঘবিধিসহ পাঁচটি আলাদা ফরম পূরণের নিবন্ধন মাশুল ৪০০ টাকা করে মোট ২ হাজার ৪০০ টাকা।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি
এ ধরনের কোম্পানির সংঘস্মারকের স্ট্যাম্প মাশুল নির্ধারিত এক হাজার টাকা। তবে ২০ লাখ থেকে ছয় কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প মাশুল চার হাজার টাকা এবং ছয় কোটির বেশির ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা।
পিএলসির নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ৮ থেকে ৯ ধরনের ফাইল রয়েছে, যার প্রতিটির জন্য স্ট্যাম্প ফি রয়েছে ৪০০ টাকা। ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুমোদিত মূলধনের ক্ষেত্রে পিএলসির জন্যও কোনো মাশুল লাগে না।
বিদেশি কোম্পানি
বিদেশি কোম্পানির সংঘস্মারক ও সংঘবিধির জন্য স্ট্যাম্প মাশুল নির্ধারিত দুই হাজার টাকা। এ ধরনের কোম্পানির নিবন্ধনের জন্য সংঘস্মারক, সংঘবিধিসহ ফাইল প্রস্তুত হয় ছয়টি। প্রতিটির জন্য আলাদা করে রয়েছে ৪০০ টাকা।
বাণিজ্য সংগঠন
বাণিজ্য সংগঠনের সংঘস্মারক স্ট্যাম্প মাশুল এক হাজার টাকা ও সংঘবিধির স্ট্যাম্প মাশুল দুই হাজার টাকা নির্ধারিত। বাণিজ্য সংগঠনের পরিচালকদের অনুলিপির জন্য রয়েছে আরও ১৫০ টাকা।
বাণিজ্য সংগঠনের নিবন্ধন করতে সংঘস্মারক ও সংঘবিধির জন্য মাশুল ৬০০ টাকা। এ ছাড়া পাঁচ ধরনের ফরম পূরণ করতে হয়, প্রতিটির জন্য রয়েছে ২০০ টাকা করে।
এ ছাড়া বাণিজ্য সংগঠনের সদস্য ২০ জন হলে এক হাজার টাকা, ২০ থেকে ১০০ জন সদস্যের ক্ষেত্রে দুই হাজার ৫০০ টাকা মাশুল দিতে হয়।
প্রত্যয়িত অনুলিপি
প্রত্যয়িত অনুলিপি বা সার্টিফায়েড কপির জন্য প্রাইভেট, পাবলিক, বিদেশি কোম্পানি, বাণিজ্য সংগঠন, সমিতি ও অংশীদারি কারবারের জন্য স্ট্যাম্প মাশুল, কোর্ট মাশুল ও অন্যান্য মাশুল রয়েছে।
যেমন স্ট্যাম্প মাশুল সংঘস্মারক, সংঘবিধি ও অন্য যেকোনো কাগজের মাশুল আলাদা ৫০ টাকা করে। কোর্ট মাশুল আছে ২০ টাকা। অন্যান্য মাশুলের মধ্যে রেকর্ড পরিদর্শনের জন্য ২০০, নিয়মিতকরণ প্রত্যয়নপত্রের অনুলিপির জন্য ২০০, ব্যবসা শুরুর সনদের অনুলিপির জন্য ২০০, কোনো কাগজের প্রতি ১০০ শব্দের বা তার খণ্ডিত অংশের অনুলিপির জন্য ১০ টাকা মাশুল দিতে হয়।
সমিতি ও অংশীদারি কারবার
সমিতির নিবন্ধন নিতে হয় ১৮৬০ সালের নিবন্ধন আইন অনুযায়ী। যেকোনো সমিতির নিবন্ধন মাশুল ১০ হাজার টাকা। এর বাইরে নিবন্ধন ফাইলিংয়ের জন্য মাশুল রয়েছে ৪০০ টাকা এবং ডিজিটাল সনদের জন্য এক হাজার টাকা।
অংশীদারি কারবারের নিবন্ধন নিতে হয় ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইন অনুযায়ী। এর আওতায় নিবন্ধন মাশুল এক হাজার টাকা। নিবন্ধন ফাইলিংয়ের মাশুল ৪০০ টাকা। তবে ডিজিটাল সনদের জন্য কোনো মাশুল নেওয়া হয় না।
আরও পড়ুন:
প্রথম সংবাদ সম্পর্কিত আরও
অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমিরাতের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
১৩ জুন ২০২৪
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো বাংলাদেশ ফাইন্যান্স
১২ জুন ২০২৪
পুঁজিবাজার গতিশীল রাখতে ভালো আইপিওর বিকল্প নেই: ডিবিএ প্রেসিডেন্ট
১১ জুন ২০২৪
ডিএনএ লজিক ডিজাইনের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে ড. হাসান বাবুর আন্তর্জাতিক প্রকাশনা
১০ জুন ২০২৪
মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
০৮ জুন ২০২৪
অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর কমলো
০৬ জুন ২০২৪