বাংলাদেশকে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের হাতছানি
নিউজ ডেস্ক
151
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারী ২০২১
ব্রিকস জোটের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে (এনডিবি) বাংলাদেশের যোগ দেওয়া নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে জোরেশোরে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল সভায় বাংলাদেশকে এনডিবির সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানানোর পরই এই আলোচনায় গতি এসেছে।
এনডিবিতে যোগ দিলে বাংলাদেশ কীভাবে লাভবান হতে পারে, সেই হিসাব-নিকাশ কষছে সরকার। এ নিয়ে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি এনডিবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের একটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের কথা রয়েছে।
উদীয়মান পাঁচটি বড় অর্থনীতির জোট ব্রিকসের উদ্যোগে ছয় বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় এনডিবি। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার নামের আদ্যক্ষর নিয়ে নামকরণ হয় ব্রিকস জোটের।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা বলছেন, এনডিবি ছয় বছর আগে গঠিত হলেও এত দিন সংস্থাটির কার্যক্রম অনেকটা ধীরগতিতে চলছিল। যে কারণে বাংলাদেশও এই ব্যাংকের সদস্য হওয়া নিয়ে ধীরে চলো নীতিতে অগ্রসর হয়। কিন্তু মাস দেড়েক আগে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণের পর সর্বোচ্চ মহল থেকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী এনডিবির সদস্য হওয়া নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও ইআরডিতে আলোচনা শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, এনডিবিতে বাংলাদেশের ভূমিকা কী হবে, আর শেয়ার কত হবে—এসব নিয়ে হিসাব কষছেন কর্মকর্তারা। নতুন ব্যাংকের ঋণের সুদের হার, গ্রেস পিরিয়ড, চাঁদার পরিমাণ, শেয়ার কেনার জন্য কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে, কোন কোন খাতে বিনিয়োগ মিলবে ইত্যাদি বিষয়েও খোঁজখবর চলছে। এনডিবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা হবে।
জানতে চাইলে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব দিনারুল ইসলাম বলেন, এনডিবির সদস্য হওয়া নিয়ে আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা চলছে।
জানা গেছে, এনডিবির সদস্য হতে বাংলাদেশ আগ্রহী। কারণ, সরকার পাঁচ বছর মেয়াদি ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২১-২৫) বাস্তবায়ন শুরু করেছে এ বছর। এই পাঁচসালা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে খরচ হবে ৬৫ লাখ কোটি টাকা। এ ছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত ১৫ বছর মেয়াদি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নেও বাড়তি টাকার প্রয়োজন হচ্ছে। অন্যদিকে আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার পর সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া বাতিল হয়ে যাবে। এসব দিক বিবেচনা করেই বাংলাদেশ নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) সদস্য হতে চায়, যাতে বিপুল পরিমাণ টাকার জোগান পাওয়ার নতুন একটি উৎস তৈরি হয়।
বাংলাদেশ যদি এনডিবিতে যোগ দেয়, তাহলে ঋণ পাওয়ার নতুন একটি দরজা খুলবে বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন। তিনি বলেন, এনডিবি যেহেতু অবকাঠামো খাতে বেশি ঋণ দেবে, তাই বাংলাদেশের উচিত এই ব্যাংকের সদস্য হওয়া। কারণ, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রচুর টাকার প্রয়োজন হবে সরকারের।
এনডিবির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালের ২১ জুলাই। ব্যাংকটির মোট মূলধন ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। আর প্রাথমিক মূলধন ৫ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংকটি অবকাঠামো খাতে ঋণ দেবে। এর সুদের হার থাকবে ৩ শতাংশের মধ্যে।
আরও পড়ুন:
প্রথম সংবাদ সম্পর্কিত আরও
অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমিরাতের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
১৩ জুন ২০২৪
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো বাংলাদেশ ফাইন্যান্স
১২ জুন ২০২৪
পুঁজিবাজার গতিশীল রাখতে ভালো আইপিওর বিকল্প নেই: ডিবিএ প্রেসিডেন্ট
১১ জুন ২০২৪
ডিএনএ লজিক ডিজাইনের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে ড. হাসান বাবুর আন্তর্জাতিক প্রকাশনা
১০ জুন ২০২৪
মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
০৮ জুন ২০২৪
অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর কমলো
০৬ জুন ২০২৪