‘চামড়া শিল্পের উন্নয়নে কারখানাগুলোকে কমপ্লায়েন্স করতে হবে’
নিউজ ডেস্ক
151
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারী ২০২১
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন ঐতিহ্যবাহী চামড়া শিল্পের স্থায়ী কাজে শ্রমিকদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। এ শিল্পের উন্নয়নে কারখানাগুলোকে কমপ্লায়েন্স করতে হবে। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার পুরোপুরি চালু এবং পরিবেশ দূষণ রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে আরো আন্তরিক হওয়ার জন্য তিনি মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল (শনিবার) রাজধানীর বিজয়নগরে পল্টন টাওয়ারে ইআরএফ এর সম্মেলনকক্ষে দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত ট্যানারি শিল্পের শ্রমিকদের ওপর করোনার প্রভাব শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানীমূখি ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পের উন্নয়নে সরকার মালিকদের পাশে আছে। শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সুবিধাগুলো নিশ্চিত করে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করে এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি চামড়া শিল্প নগরীতে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মনিটরিং জোরদারের নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু ট্যানারি শিল্পই নয় সকল খাতের বিশাল এই শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে বাঁচাতে, দেশের অর্থনীতি এবং দেশকে রক্ষায় মহামারীর শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সময়োপযোগী এবং দৃঢ় পদক্ষেপের ফলে সরকার শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে গার্মেন্টসসহ সকল কল-কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী করোনা মহামারীর শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গার্মেন্টস শ্রমিকসহ ক্ষতিগ্রস্থ জনগণের উপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব হ্রাস করার জন্য ৩১-দফা নির্দেশনা জারি এবং পুনরুদ্ধার প্যাকেজ ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকার, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ফেডারেল জার্মান সরকার অর্থায়নে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে রপ্তানিমূখী তৈরী পোশাক, চামড়াজাত পন্য ও পাদুকা শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় নগদ সহায়তা প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছি। গতমাসে এ কর্মসূচির আওতায় গার্মেন্টস এবং ট্যানারি শিল্পের মোট ৩২৬৬ জন শ্রমিক প্রত্যেককে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের জন্য ৬ হাজার টাকা করে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ট্যানারি শিল্পের মোট ২২০ জন শ্রমিককে এ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী উন্নত কর্মপরিবেশে চামড়া শিল্পের দক্ষ শ্রমিকদের দিয়ে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা করলে চামড়ার আমদানি নির্ভরতা কমবে বলে মত প্রকাশ করেন।
সংলাপে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ); এর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ শাহীন আহমদ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র এর সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, আইএলও এর দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল ডেস্কটপ ওয়ার্ক টিম এবং শ্রমিকদের অধিকার, কল্যাণ সুরক্ষা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ জনাব সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক এবং এনসিসিডাব্লুই এর সদস্য সচিব জনাব নাইমুল আহসান জুয়েল বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর জনাব কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ। সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ।
আরও পড়ুন:
প্রথম সংবাদ সম্পর্কিত আরও
অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমিরাতের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
১৩ জুন ২০২৪
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো বাংলাদেশ ফাইন্যান্স
১২ জুন ২০২৪
পুঁজিবাজার গতিশীল রাখতে ভালো আইপিওর বিকল্প নেই: ডিবিএ প্রেসিডেন্ট
১১ জুন ২০২৪
ডিএনএ লজিক ডিজাইনের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে ড. হাসান বাবুর আন্তর্জাতিক প্রকাশনা
১০ জুন ২০২৪
মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
০৮ জুন ২০২৪
অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর কমলো
০৬ জুন ২০২৪