ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৬ জুন ২০২৪

২০২০-২০৩৫ সালের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিলে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ


নিউজ ডেস্ক
163

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারীফেব্রুয়ারি ২০২০
২০২০-২০৩৫ সালের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিলে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ



২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের (সিইবিআর) সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনটিতে।

সিইবিআরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২০-২০৩৫ সালের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিলে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বর্তমান সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।

ক্রয়ক্ষমতার সমতার (পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি) ভিত্তিতে মাথাপিছু জিডিপি ৫,১৩৯ ডলার নিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে একটি নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের দেশ। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল্যমান হবে ৪৮৮ বিলিয়ন ডলার।

সিইবিআরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১- ২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি গড়ে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।

তবে, সেইসাথে বছরপ্রতি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ কমে যেতে পারে।

মহামারি ও মন্দা সত্ত্বেও আগামী দশকে বাংলাদেশ মালেয়শিয়া, ইজরায়েল এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পেছনে ফেলে ২৮তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠতে পারে।

সিইবিআরের পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ হংকং, সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক ও নরওয়েকেও পেছনে ফেলে এগিয়ে যাবে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনেও ২০৩০ সালের ব্যাপারে একই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের ৫ম ও ২০৩০ সালের মধ্যে ৩য় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে ভারত। বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনটিতে।

২০৩০'র দশকে ভারত বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতির দেশ হয়ে ওঠার আগ পর্যন্ত তৃতীয় অবস্থানেই থাকবে জাপান। ভারত তৃতীয় অর্থনীতির দেশ হওয়ার পর চতুর্থ – পঞ্চম অবস্থানে নেমে আসবে জার্মানি।

মহামারির আঘাত সত্ত্বেও ২০২০ সালে অর্থনৈতিক সংকোচন এড়াতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৮ শতাংশ গতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

২০১৯ সালে সরকারি ঋণ ছিল জিডিপির ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২০ সালে জিডিপির অনুপাতে সরকারি ঋনের হার বেড়ে হয় ৩৯ দশমিক ৬ শতাংশ। এছাড়াও ২০২০ সালে বাংলাদেশের রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ১৯৩টি দেশের পূর্বাভাস নিয়ে গত ডিসেম্বর 'ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল ২০২১' শীর্ষক এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।

২০০৯ সালে সংস্থাটির প্রথম এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই  বিভিন্ন দেশের তুলনামূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিমাপের আদর্শ মানদন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয় একে।


আরও পড়ুন:

বিষয়: