ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৬ জুন ২০২৪

১৫ ব্রোকারেজ হাউজ: গ্রাহক হিসেবে টাকা ফেরতের সময় শেষ হচ্ছে কাল


নিউজ ডেস্ক
123

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২০
১৫ ব্রোকারেজ হাউজ: গ্রাহক হিসেবে টাকা ফেরতের সময় শেষ হচ্ছে কাল



স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ১৫টি সদস্য প্রতিষ্ঠান, সহজভাষায় ব্রোকারহাউজকে গ্রাহকদের সমন্বিত হিসাবের ঘাটতিকৃত টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে কাল, বৃহস্পতিবার। প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিতে বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল ডিএসই। টাকা সমন্বয়ের পর ডিএসই প্রতিষ্ঠানগুলোকে শুনানীতে ডাকবে। শুনানীর বক্তব্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে। কোনো কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহক হিসাবের টাকা সমন্বয় না করলে বা সমন্বয়ে ব্যর্থ হলে বিধি অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত সপ্তাহে আলোচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে গ্রাহকদের সমন্বিত হিসাবে ৪৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ঘাটতি দেখতে পায় দেশের প্রথম ও প্রধান এই স্টক এক্সচেঞ্জ। আলোচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দেশের কিছু বড় শিল্পগ্রুপের মালিকানাধীন ব্রোকারহাউজও ছিল। তবে ইতোমধ্যে এপেক্স ইনভেস্টমেন্ট ও ইউনিক্যাপ সিকিউরিটিজ নামের দুটি ব্রোকারহাউজ হিসাব সমন্বয় করে নিয়েছে বলে জানা গেছে। এপেক্স ইনভেস্টমেন্টের পক্ষ থেকে একটি অনলাইন নিউজপোর্টালকে জানানো হয়েছে, তাদের গ্রাহক একাউন্টের টাকা সাধারণ ছুটির সময়ে অন্য একটি হিসাবে (Over Draft-OD Account) জমা রাখা হয়েছিল, বাজার বন্ধের সময়ে সুদ হারের চাপ কমাতে। অন্যদিকে ইউনিক্যাপ সিকিউরিটিজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একই গ্রুপের মার্চেন্ট ব্যাংক ইউনিক্যাপ ইনভেস্টমেন্টের সাথে একটি অনিষ্পত্তিকৃত লেনদেনের কারণে গ্রাহক হিসাবের টাকা ঘাটতি সংক্রান্ত ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। ইতোমধ্যে এটি সমন্বয় করা হয়েছে। উল্লেখ, গত ২২ জুন ডিএসইর সদস্য প্রতিষ্ঠান ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শহীদুল্লাহ, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নিপা সুলতানা ব্রোকারহাউজটির সব অফিস বন্ধ করে দিয়ে গা দেয়। গত ৬ জুলাই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি তাদেরকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা গ্রাহকদের ১৮ কোটি টাকা আত্মাসাত করার কথা স্বীকার করে। ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ঘটনায় অনেক দিন পর ডিএসই গা ঝাড়া দিয়ে উঠে। সব ব্রোকারহাউজের কাছে চিঠি দিয়ে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের তথ্য জানতে চায়। ডিএসইর নির্দেশে ব্রোকারহাউজগুলোর পাঠানো হিসাব থেকে আলোচিত ১৫ ব্রোকারহাউজে ৪৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ঘাটতি পাওয়া যায়। গত ৮ জুলাই অনুষ্ঠিত ডিএসইর পরিচালনা পষর্দের বৈঠকে ম্যানেজমেন্ট এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে তাতে এই ভয়াবহ তথ্য উঠে আসে। এর প্রেক্ষিতে পর্ষদ সভায় আলোচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

আরও পড়ুন:

বিষয়: