ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৬ জুন ২০২৪

‘বিএসইসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একসঙ্গে কাজ করব’


নিউজ ডেস্ক
113

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০১৯
‘বিএসইসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একসঙ্গে কাজ করব’



স্টাফ রিপোর্টার : শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বে সবাই একসঙ্গে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান। একইসঙ্গে বিএসইসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আছেন এবং পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার, ১৭ মে রাজধানীর স্কাই সিটি হোটেলে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এতে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী, অধ্যাপক স্বপন কুমার বালা, খন্দকার কামালউজ্জামান, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান, সিএসইর পরিচালক ছায়েদুর রহমান, শেয়ারবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, সিএমজেএফের প্রেসিডেন্ট হাসান ইমাম রুবেলসহ সংগঠনটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। রকিবুর রহমান বলেন, বিএসইসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অনেক সংস্কার হচ্ছে। আমরা সবাই তার নেতৃত্বে একসঙ্গে কাজ করব। তিনি আমাদের সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা সবাই তার সঙ্গে একমত। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার সমস্যার সমাধান হয়েছে। এছাড়া তিনি শেয়ারবাজারের স্বার্থে আইপিও থেকে শুরু করে প্লেসমেন্ট, উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ২ শতাংশ ও ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারন, উদ্যোক্তাদের শেয়ারে লক-ইনসহ প্রত্যেকটি সংস্কার কাজ করে যাচ্ছেন। তাই সবাই তার নেতৃত্বে শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য পাশে আছি এবং থাকব। এছাড়া তিনি শেয়ারবাজারকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে যে কাজ করে যাচ্ছেন, আমরা তার এই কাজের পাশে থাকব। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে আস্থার ও তারল্যের সংকট রয়েছে। যা খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বে কেটে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আর সামনে একটা সুন্দর শেয়ারবাজার পাব। অনুষ্ঠানে বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন বলেন, শেয়ারবাজারের সঙ্গে মানি মার্কেট ও অর্থনীতির উন্নয়নের সর্ম্পক্য সরল রেখার মতো না। এই সর্ম্পক্য অত্যান্ত জটিল। তাই বলব আপনারা (সাংবাদিকেরা) সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে দেখেন, গত কয়েক মাসের সূচকের পতনে রেগুলেটরের কোন ভূমিকা আছে কিনা। আজকে যদি ১১-১২ শতাংশ হারে ডিপোজিট চাওয়া হয়, ৪০ হাজার কোটি টাকার জায়গায় যদি ৬৪ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র চাওয়া হয়, যদি মানি মার্কেটের সঙ্গে সমন্বয়হীনতার অভাব থাকে, তাহলে কমিশনের কি করার থাকে। তারপরেও আমরা অনেকগুলো বিষয় অ্যাড্রেস করেছি। আমাদের কাজ হলো প্রত্যেকের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে বাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, সাংবাদিকদেরকে শক্তিশালী করার জন্য একদিকে যেমন বিনিয়োগ শিক্ষার দরকার, অন্যদিকে আইন-কানুন সর্ম্পক্যে জানানো, স্টক এক্সচেঞ্জের কি দায়িত্ব, মার্চেন্ট ব্যাংকের কি দায়িত্ব ইত্যাদি জানানো দরকার। প্রয়োজনে কমিশন থেকে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করব। তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজার নিয়ে লেখালেখি করা সাংবাদিকদের বসার জায়গা নেই। তাদের জন্য অফিসের দরকার। কিন্তু আমাদের সামর্থ্য সীমিত। এক্ষেত্রে সমস্ত অংশীজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান করব। যাতে সাংবাদিকেরা বসার জায়গা পায়। সেখানে শুধু তারা বসে গল্প করবে না, যাতে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে পারে। দেশের স্বার্থে, অর্থনীতির অগ্রগতির স্বার্থে, শেয়ারবাজারের উন্নয়নের মাধ্যমে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে তারা যাতে অগ্রনি ভূমিকা রাখতে পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সাংবাদিকদের পাশে এগিয়ে আসতে হবে। যাতে সত্যকে সত্য বলার মতো শুধু সৎ সাহস না, সত্যকে সত্য বলার মতো যে জ্ঞান অর্জনের দরকার, তা অর্জন করতে পারে। শেয়ারবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে পুণ:বিনিয়োগের সুযোগের মাধ্যমে এই খাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হয়েছে। আমি জানি না, কমিশন কিভাবে এটা বিবেচনা করেছিল। তিনি বলেন, জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারিতে সূচক ৫৯৪০ পয়েন্ট ছিল। কিন্তু এটা থাকে নাই। এর কারন কমিশনকে খুজে বের করতে হবে। একমাসের মধ্যে যদি বাজার থেকে ৭০০ কোটি টাকা বের হয়ে যায়, তাহলে সূচক থাকবে কিভাবে। এছাড়া প্লেসমেন্টের মাধ্যমে টাকা বের হয়ে যাচ্ছে। তাই আপনারা (কমিশন) ব্যাংকের মাধ্যমে কিছু টাকা আনবেন, এরপরে সূচক বাড়বে। কিন্তু কিছু লোক আবার টাকাগুলোকে নিয়ে চলে যাবে। তাই চেয়ারম্যান মহোদয়কে অনুরোধ করব, যেসব উদ্যোক্তারা শেয়ার বিক্রি করে দেয়, তাদের বিষয়টা দেখেন। এরা শেয়ার বিক্রির করে দেওয়ার পরেও কিভাবে কোম্পানির নিয়ন্ত্রনে রাখে। কিন্তু অন্য দেশে হলে এটা সম্ভব হতো না।

আরও পড়ুন:

বিষয়: