সঞ্চয়পত্রের ক্রেতা কারা
নিউজ ডেস্ক
113
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় থেকে বিক্রি হয় সঞ্চয়পত্র। রাজধানীর মতিঝিলের ওই শাখাটিতেই রয়েছে জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরোর বিশেষ একটি শাখা। সেখান থেকে সঞ্চয়পত্র কিনতে এসেছিলেন গৃহিণী কোহিনুর বেগম। বছর পাঁচেক আগে বিধবা হওয়া এ নারীর স্বামী ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। দীর্ঘ সময় ব্যয় করেও ব্যাংকের শাখা ও সঞ্চয় ব্যুরো থেকে সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেননি তিনি।
১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে বসেই এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় কোহিনুর বেগমের। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, একটি বেসরকারি ব্যাংকে ৫ লাখ টাকার মেয়াদি আমানত ছিল। তিন মাস পর পর ব্যাংক যে সুদ দিচ্ছে, তাতে ওষুধ খরচও মেটানো যাচ্ছে না। এজন্য সঞ্চয়পত্র কিনতে এসেছি। সকাল সাড়ে ১০টায় এসে দুপুর পর্যন্তও কিনতে পারিনি। এর আগেও দুবার এসেছিলাম।
কোহিনুর বেগমদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সঞ্চয়পত্র হলেও কিনতে পারছেন না তারা। তাহলে উচ্চসুদের এ সঞ্চপত্র কিনছেন কারা? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কথা হয় সরকারি-বেসরকারি ডজনখানেক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), শাখা ব্যবস্থাপক ও জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরোর শাখাপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তারা বলছেন, সম্পদ ও ক্ষমতাশালীরাই সঞ্চয়পত্র বেশি কিনছেন। অনেক ক্ষেত্রে তাদের জন্য সঞ্চয়পত্র সংরক্ষণ করে রাখতে হচ্ছে। ফলে সাধারণ গ্রাহকরা সঞ্চয়পত্রের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ১০০ জন আগ্রহীর মধ্যে সঞ্চয়পত্র কিনতে পারছেন গড়ে ২০ জন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঞ্চয়পত্রের জন্য নির্ধারিত ফরমে অনেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনছেন। এক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের সহযোগিতা করছেন বিক্রির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। সঞ্চয়পত্র ক্রেতাদের কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডার না থাকার সুযোগও নিচ্ছেন সম্পদশালীরা। নিয়মানুযায়ী, পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। পেনশনার সঞ্চয়পত্র কেনা যায় ৫০ লাখ টাকার। তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ ও যৌথ নামে ৬০ লাখ টাকার কেনার সুযোগ রয়েছে। যদিও প্রভাবশালীদের জন্য এ নীতি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আছে।
দেশে শীর্ষ সম্পদশালীদের প্রায় সবারই সঞ্চয়পত্রে বড় বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা। ২০১৭ সালে আয়কর রিটার্নে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার বেশি সম্পদ প্রদর্শন করা ১১ হাজার ৬৬৭ করদাতার মধ্যে অধিকাংশের ক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্রে বড় ধরনের বিনিয়োগের তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। এর বাইরে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেই সবেচেয়ে বেশি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের তথ্য পেয়েছে এনবিআর। সম্প্রতি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্পদশালী প্রার্থীদের হলফনামায়ও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের তথ্য রয়েছে।
সম্পদশালীরাই সঞ্চয়পত্রের বড় ক্রেতা হওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহক। আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও সঞ্চয়পত্র কিনতে পারছেন না তারা। যদিও চাহিদা অনুযায়ীই বেসরকারি ব্যাংকের সব শাখা থেকে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করা হয় বলে জানিয়েছেন ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করি সঞ্চয়পত্র কিনতে আসা সব গ্রাহকের কাছে বিক্রি করার। কিন্তু অনেক সময় জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে চাহিদা অনুযায়ী সঞ্চয়পত্র সরবরাহ করা হয় না। এজন্য কোনো কোনো গ্রাহক বঞ্চিত হতে পারেন।
তবে এ প্রতিবেদক মতিঝিল, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার এলাকার বেসরকারি অনেক ব্যাংকের শাখায় গিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনতে চেয়েও পাননি। শাখাপর্যায়ের ব্যাংকাররা জানান, সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো হবে। এজন্য সরকার সঞ্চয়পত্র দিচ্ছে না। সঞ্চয়পত্র না কিনে ব্যাংকে মেয়াদি আমানত রাখার পরামর্শ দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের কয়েকটি শাখায় গিয়েও সঞ্চয়পত্র কিনতে পারা যায়নি। যদিও প্রতিবেদকের পরিচয় জেনে একাধিক শাখা ব্যবস্থাপক চাহিদা অনুযায়ী সঞ্চয়পত্র ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রস্তাব দেন।
সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে চাহিদা অনুযায়ী পারিবারিক সঞ্চয়পত্র সরবরাহ করা হয়নি। এজন্য কোনো গ্রাহক সঞ্চয়পত্র কিনতে না পেরে ফেরত যেতে পারেন। এ প্রতিবেদকের সামনেই তিনি সঞ্চয়পত্র বিক্রির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে ডেকে আনেন। ওই কর্মকর্তা জানান, রাজধানীতে সোনালী ব্যাংকের পাঁচটি শাখা থেকে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করা হচ্ছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম।
বেশ কয়েকজন ব্যাংকার অভিযোগ করে বলেন, সঞ্চয় ব্যুরো, পোস্ট অফিস ও জেলা সঞ্চয় অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র কিনতে অনেক সময় ঘুষ দিতে হয়। অনেক গ্রাহক ব্যাংকারদের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন বলেও তারা জানান।
যদিও সঞ্চয় ব্যুরোর রাজধানীর কাঁটাবন শাখার সহকারী পরিচালক মোতালেব হোসেন বলেন, আমাদের শাখায় ঘুষ চাওয়াসংক্রান্ত একটি নোটিস ও মোবাইল নম্বর ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। কারো কোনো অভিযোগ থাকলে সেখানে ফোন করে জানাতে পারেন। প্রতিদিনই শতাধিক গ্রাহক আমাদের শাখায় সঞ্চয়পত্র কিনতে আসছেন। চাহিদা অনুযায়ী সঞ্চয়পত্র কিনেই বাড়ি ফিরছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ’১৮) মোট ৪৩ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ায় পরিশোধ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা। একই সময়ে সরকার সুদ বাবদ ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। মোট বিক্রি থেকে পরিশোধকৃত সঞ্চয়পত্র ও সুদ ব্যয় বাদ দিয়ে অর্থবছরের প্রথমার্ধে নিট সঞ্চয়পত্রের বিক্রি দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকায়। যদিও পুরো অর্থবছরেই সঞ্চয়পত্র থেকে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সে হিসাবে অর্থবছরের ছয় মাস বাকি থাকতে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৫ শতাংশই পূর্ণ হয়ে গেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথমার্ধে ২৩ হাজার ৮২৩ কোটি টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি করেছিল সরকার। ৩১ ডিসেম্বর শেষে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা।
দেশের সব জেলায় একটি করে সঞ্চয় দপ্তর রয়েছে। এসব দপ্তর থেকে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করা হয়। এর বাইরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির জন্য রয়েছে বিশেষ সঞ্চয় ব্যুরো। আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের সব আঞ্চলিক কার্যালয়, দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের শাখা, ডাক অধিদপ্তরের সব পোস্ট অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হওয়ার কথা। যদিও দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের বেশির ভাগ শাখা থেকেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি করা হচ্ছে না।
বিষয়টি উঠে এসেছে সঞ্চয়পত্র বিক্রিবিষয়ক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক জরিপেও। গত বছর চালানো ওই জরিপের ফলাফলে বলা হয়, প্রতিদিনই বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল ও সদরঘাট কার্যালয়ের পাশাপাশি দেশের সব আঞ্চলিক কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য গ্রাহকদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর অনীহা, কর্মকর্তাদের দুর্ব্যবহারই এর কারণ বলে জরিপে তুলে ধরা হয়েছে। আগামী মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে জরিপের ফলাফল জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে প্রতিদিনই সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য দীর্ঘ সারি তৈরি হচ্ছে। ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই তৈরি হচ্ছে গ্রাহকদের দীর্ঘ সারি। এ সারি বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যাও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে সঞ্চয়পত্র কিনতে না পেরেই ওই গ্রাহকরা বাংলাদেশ ব্যাংকে ভিড় করছে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ওবায়েদ উল্লাহ্ আল্ মাসুদ বলেন, পানি সবসময় নিচের দিকেই গড়ায়। ব্যাংক আমানতের সুদহার কম থাকায় সাধারণ মানুষ সঞ্চয়পত্র কিনতে ভিড় করছে। সঞ্চয়পত্র ক্রেতাদের সারি ছোট হচ্ছে না। গ্রাহকদের কাছে সঞ্চয়পত্র বিক্রির জন্য আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।
প্রকৃত উপকারভোগীদের কাছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করতে সম্প্রতি বিক্রয় কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অটোমেশনে সঞ্চয়পত্র কিনতে গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ই-টিন সার্টিফিকেট দিতে হবে। ৫০ হাজার টাকার বেশি অর্থের সঞ্চয়পত্রের টাকা পরিশোধ করতে হবে ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে। প্রকৃত উপকারভোগীদের পাশাপাশি সঞ্চয়পত্রে কালো টাকা এবং অতিরিক্তি বিনিয়োগ বন্ধ করতে অটোমেশন পদ্ধতিতে বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে চারটি দপ্তরে অটোমেশন প্রক্রিয়া চালু করা হয়। পরীক্ষামূলকভাবে তিন মাস চলার পর অটোমেশন প্রক্রিয়া সারা দেশে বিভাগীয় ও জেলা শহরের কার্যালয়ে শুরু হবে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি, পরিসংখ্যান, ব্যুরো এবং অডিট ও আইন) মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, এখন পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের ক্রেতাদের কোনো কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডার নেই। তবে এক ব্যক্তি সীমাতিরিক্ত সঞ্চয়পত্র কিনছেন কিনা, সেটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে জানার সুযোগ আছে। অটোমেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকবে না। নতুন এ ডাটাবেজ চালু হলে সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ই-টিন সনদ জমা দিতে হবে। ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নগদ দিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। টাকার পরিমাণ এর বেশি হলে অবশ্যই ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। এজন্য সঞ্চয়কারীর ব্যাংক হিসাব নম্বর, মোবাইল নম্বর দিতে হবে। ফলে এক ব্যক্তি কখন কত টাকার সঞ্চয়পত্র কিনেছেন, তার হিসাব নিবন্ধন করা থাকবে। একই সঙ্গে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকৃত টাকার উৎস সম্পর্কেও জানা যাবে।
তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই মোট ৪৩ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এ হিসাবে প্রতি মাসেই গড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এসব সঞ্চয়পত্র কিনেছেন মূলত দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ সম্পদ ও ক্ষমতাশালীরাই।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। এ স্কিমের সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছে ৮ হাজার ৪৬০ কোটি টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৭১৫ কোটি টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। ৪ হাজার ৮৭ কোটি টাকার পোস্ট অফিস সঞ্চয়পত্র, ২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, ১ হাজার ৫৯০ কোটি টাকার পেনশনার সঞ্চয়পত্র ও ৫৫৩ কোটি টাকার ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড বিক্রি হয়েছে। সঞ্চয়পত্র বিক্রির অন্যান্য আয় এসেছে প্রাইজবন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড, সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ড বিক্রি থেকে। সূত্র: বণিক বার্তা
আরও পড়ুন:
প্রথম সংবাদ সম্পর্কিত আরও
অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমিরাতের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
১৩ জুন ২০২৪
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো বাংলাদেশ ফাইন্যান্স
১২ জুন ২০২৪
পুঁজিবাজার গতিশীল রাখতে ভালো আইপিওর বিকল্প নেই: ডিবিএ প্রেসিডেন্ট
১১ জুন ২০২৪
ডিএনএ লজিক ডিজাইনের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে ড. হাসান বাবুর আন্তর্জাতিক প্রকাশনা
১০ জুন ২০২৪
মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
০৮ জুন ২০২৪
অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর কমলো
০৬ জুন ২০২৪