ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৬ জুন ২০২৪

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজ নিলামে উঠছে


নিউজ ডেস্ক
97

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারী ২০১৯
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজ নিলামে উঠছে



ডেক্স রিপোর্ট: পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেডের তিনটি উড়োজাহাজ নিলামে তুলতে যাচ্ছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। ব্যাংকটির উত্তরা মডেল টাউন শাখায় এ বছরের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বকেয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। ব্যাংকের পক্ষ থেকে বারবার তাগাদা দেয়া হলেও কোম্পানিটি টাকা পরিশোধ না করলে বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টার মধ্যে দরপত্র জমা দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। বন্ধকি সম্পত্তি বিক্রির জন্য প্রকাশিত দরপত্র বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড, কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন (অব.) তাসবীরুল ইসলাম, পরিচালক মো. শাহিনুর আলম, মো. মাহতাবুর রহমান, মো. আহফাজ মিয়া ও মো. খসরুজ্জামান ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের উত্তরা মডেল টাউন শাখা থেকে বিনিয়োগ গ্রহণ করেন। এ বিনিয়োগের বিপরীতে ইসলামী ব্যাংকের কাছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের দুটি এমডি-৮৩ ও একটি এটিআর-৭২-২০২ উড়োজাহাজ বন্ধক রাখা হয়। এর মধ্যে একটি উড়োজাহাজ এমডি-৮৩ গ্রিসের এথেন্স থেকে ক্রেতাকে ডেলিভারি নিতে হবে। নিলামের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন (অব.) তাসবীরুল ইসলাম বলেন, ইসলামী ব্যাংকের কাছ থেকে ৫০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ নেয়া হয়েছিল, যার অধিকাংশই এরই মধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক যে ১৫৩ কোটি টাকা পাওনা দাবি করেছে, এর মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০-২৫ কোটি টাকার বেশি হবে না। আর বাকিটা তারা পুঞ্জীভূত মুনাফা হিসেবে দাবি করছে। নিলামের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনারও চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের অপারেশন চালুর প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিদেশী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪০০ কোটি ও বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২২৪ কোটি টাকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে তিনটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে। তবে বেশকিছু জটিলতার কারণে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি ঝুলে আছে। তাই বর্তমানে আমরা বন্ডের পরিবর্তে ব্যাংকের কাছ থেকে অর্থায়নের মাধ্যমে কীভাবে অপারেশন চালু করা যায়, সে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এদিকে নিলামের বিষয়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া বলেন, বিনিয়োগকৃত অর্থ আদায়ের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা ও অর্থ ঋণ আদালতের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিলামের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর ব্যাংক গ্রাহকের কাছে আসল ও পুঞ্জীভূত মুনাফার অর্থ চাইবে এটাই স্বাভাবিক। তবে নিলামের উদ্যোগ নেয়া হলেও পাশাপাশি গ্রাহকের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের বিষয়টি সুরাহার সুযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হঠাত্ করেই ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে দেয় ইউনাইটেড এয়ার। ২০০৫ সালে বেবিচকের অনুমোদন পাওয়ার পর ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থাটি। এ এয়ারলাইনসের ১১টি উড়োজাহাজ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। বেবিচক দেশের বিমানবন্দরগুলো থেকে এয়ারলাইনসটির উড়োজাহাজ সরানোর জন্যও একাধিকবার নোটিস দিয়েছে। পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কোম্পানির শেয়ারের বিনিময়ে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিদেশী কয়েকটি কোম্পানির কাছ থেকে উড়োজাহাজ নেয়ার উদ্যোগও পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেনি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। সূত্র: বণিক বার্তা

আরও পড়ুন:

বিষয়: