ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৬ জুন ২০২৪

আসছে আরো দুটি নতুন জীবন বীমা কোম্পানি


নিউজ ডেস্ক
105

প্রকাশিত: ০৫ জানুয়ারী ২০১৯
আসছে আরো দুটি নতুন জীবন বীমা কোম্পানি



ডেক্স রিপোর্ট: দেশের জীবন বীমা কোম্পানির সংখ্যা ৩১টি। আরো দুটি নতুন জীবন বীমা কোম্পানির যোগ দেয়া প্রায় চূড়ান্ত। বিপুল জনসংখ্যার দেশ ভারতে নিবন্ধিত জীবন বীমা কোম্পানির সংখ্যা মাত্র ২৪, সেখানে আমাদের দেশে এতো জীবন বীমা কোম্পানির প্রয়োজন কী? প্রশ্ন উঠতে পারে বিদ্যমান জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম মান নিয়ে। নতুন কোম্পানির অনুমোদন এ খাতে বিশৃঙ্খলা ও অনৈতিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি আশঙ্খা রয়েছে। ২০১৩ সালে নতুন ১৬টি জীবন বীমা কোম্পানি অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এদের অধিকাংশের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। অনেক কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে। গ্রাহকদের বীমাদাবির টাকা পরিশোধে দীর্ঘসূত্রতার পাশাপাশি বীমা এজেন্টের অর্থ আত্মসাতের মতো ঘটনা ঘটছে। অনেক গ্রাহকের পলিসির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বীমার টাকা পরিশোধ করছে না কিছু কোম্পানি। পলিসিহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা জীবন বীমা কোম্পানির উদ্দেশ্য। কিন্তু এটি পরিপালনে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে অধিকাংশ কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রিমিয়াম আনলেও প্রত্যাশিত সেবা দিতে পারছে না। ফলে বীমায় আস্থা হারাচ্ছেন গ্রাহক। প্রতি বছর বড় অংকের বীমা পলিসি তামাদি হচ্ছে। আবার নতুন জীবন বীমা কোম্পানিগুলো পরিচালন খাতে অতিরিক্ত ব্যয় করছে। গ্রাহকের অর্থের নিরাপত্তার জন্য জীবন তহবিল (লাইফ ফান্ড) হচ্ছে যেকোনো জীবন বীমা কোম্পানির প্রাণ। অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করতে গিয়ে টান পড়ছে লাইফ ফান্ডে। বীমা খাতে দক্ষ লোকবল সংকটের পাশাপাশি পলিসিতে নতুনত্বের অভাব রয়েছে। যা কারণে সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করা কঠিন পড়েছে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে বীমা খাতের প্রধান সমস্যা হলো ভাবমূর্তি সংকট। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বীমা দাবির টাকা দ্রুত পরিশোধ ও সব অভিযোগ দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গ্রাহকের আস্থা ছাড়া এ খাতের এগিয়ে চলা কঠিন। বীমা খাতের কমিশন বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। অভিযোগ রয়েছে, গোটা বীমা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। বীমা কোম্পানিতে নিয়মিত অডিট পরিচালনা করতে হবে। বীমা খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) আরো সক্রিয় ভূমিকায় দেখতে চাই। বিশ্বব্যাপী বীমা খাত অর্থনীতিকে শক্তিশালী করলেও আমাদের দেশে গ্রাহকের আস্থাহীনতা ও পদ্ধতিগত দুর্বলতার জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না। সূত্র বণিক বার্তা

আরও পড়ুন:

বিষয়: