জাতীয় নির্বাচনের বছরে অস্থিতিশীল মানি মার্কেট, শেয়ারবাজারে পতন
নিউজ ডেস্ক
108
প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারী ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় নির্বাচনের আগে তারল্য সংকটে ভোগা অস্থিতিশীল মানি মার্কেটের প্রভাবে এবং অন্যান্য নানা নেগেটিভ ফ্যাক্টরে ২০১৮ সালের শেয়ারবাজারে বছর ব্যাপি ১৫ শতাংশ পতন হয়েছে। আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদের হার বৃদ্ধি এবং ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধির কারণে উন্নয়নশীল বিশ্বের বাজারগুলো থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ প্রত্যাহারের প্রবণতা দেশের শেয়ারবাজারে বাড়তি চাপ তৈরি করে।
স্থানীয় ফান্ডের ক্রয়াদেশ বিশেষ করে আইসিবি ও অন্যান্য বড় বিনিয়োগকারীর বছর শেষে দরপতনকে রুখে সূচকের সাইডওয়েজ (সূচক ডানে চলা) চলা নিশ্চিত করেছে।
নতুন বছরে রাজনৈতিক স্থিতিশীল এবং সুদহার ও সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমলে শেয়ারবাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরবে। ঐতিহাসিকভাবে জাতীয় নির্বাচনের পর দেশের শেয়ার বাজার ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আসে। বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ জোরদার হয়। উদ্যোক্তাদের এ প্রচেষ্টা ব্যাংকিং খাতেও গতি আনতে সক্ষম। ঋণ বিতরণ বাড়ার পাশাপাশি ও কমিশন-ফি জাতীয় আয় বাড়তে পারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর। তবে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি।
তিন বছর ধরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের উপরে রয়েছে উল্লেখ করে বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী অর্থবছরে এ ধারা অব্যাহত থাকাই স্বাভাবিক। তেমনটি হলে এফএমসিজি (ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস), আর্থিক সেবা, প্রকৌশল, ওষুধ-রসায়নের মতো খাতগুলোর করপোরেট আর্নিংসে আরো ইতিবাচক চিত্র দেখা যাবে।
২০১৯ সালে সুদহার ঋণগ্রস্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) নির্ধারণে একটি বড় ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পক্ষে মত বিশ্লেষকদের। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চলমান বাণিজ্য বিবাদের কারণে বস্ত্র খাত বিদেশে বাজার বাড়ানোর সুযোগ কতটা কাজে লাগাতে পারে, সেটি পর্যবেক্ষণসাপেক্ষ।
বিদায়ী বছরের শেষ প্রান্তিকে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দর অনেকটা কমে ২০১৫ সালের পর সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে তেল আমদানির ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ লাভবান হবে।
আগামীতে করপোরেট আর্নিংসে সবচেয়ে বড় প্রভাবকগুলোর মধ্যে একটি টাকার মান। আমদানি-রফতানির সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৯ সালে টাকার মান পূর্বানুমানে ইবিএল সিকিউরিটিজ লিখেছে, বৈশ্বিক ট্রেন্ডের অংশ হিসেবে ডলারের বিপরীতে টাকা কিছুটা দুর্বল হতেই পারে। তবে বৈদেশিক মুদ্রার শক্তিশালী রিজার্ভ এ বিনিময় হারে অস্বাভাবিক পতন ঠেকাবে। ২০১৯ সালে দেশের শেয়ারবাজারে আরেকটি বড় প্রভাবক হয়ে আসতে পারে চীনের তহবিল। সূত্র বণিক বার্তা
আরও পড়ুন:
প্রথম সংবাদ সম্পর্কিত আরও
অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমিরাতের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
১৩ জুন ২০২৪
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো বাংলাদেশ ফাইন্যান্স
১২ জুন ২০২৪
পুঁজিবাজার গতিশীল রাখতে ভালো আইপিওর বিকল্প নেই: ডিবিএ প্রেসিডেন্ট
১১ জুন ২০২৪
ডিএনএ লজিক ডিজাইনের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে ড. হাসান বাবুর আন্তর্জাতিক প্রকাশনা
১০ জুন ২০২৪
মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
০৮ জুন ২০২৪
অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর কমলো
০৬ জুন ২০২৪