ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
০৬ জুন ২০২৪

বহুমূখী সম্ভাবনায় ইউনিক হোটেল


নিউজ ডেস্ক
77

প্রকাশিত: ০৭ জানুয়ারীফেব্রুয়ারি ২০১৮
বহুমূখী সম্ভাবনায় ইউনিক হোটেল



স্টাফ রিপোর্টার: আগামী বছরের মধ্যে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের নতুন ফাইভ স্টার হোটেল ‘শেরাটন ঢাকা বনানী’ চালু হবে। ২০২১ সালের মধ্যে `হায়াত সেন্ট্রিক হোটেল অ্যান্ড সার্ভিসড অ্যাপার্টমেন্ট' এবং ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সোনারগাঁ ইকোনমিক জোন নামের বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের  কার্যক্রমও শুরু করা যাবে বলে আশাবাদী কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। গতকাল (০৬, ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে অনুষ্ঠিত ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নূর আলী শেয়ারহোল্ডারদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘মাস পাঁচেক আগে রাজধানীর উত্তরায় ‘হানসা’ নামের প্রিমিয়াম আবাসিক হোটেলটি চালু হয়েছে।’ আয় ও মুনাফার বিবেচনায় এর সুফল এখনো কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে যোগ হয়নি। আগামী বছর থেকে তা যোগ হবে।” তিনি আরো বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে নেয়া জমিতে বাস্তবায়াধীন ‘শেরাটন ঢাকা বনানী’ হোটেল একটি বড় প্রকল্প। নিয়মকানুনসহ বিভিন্ন জটিলতায় সময়মতো হোটেলটি চালু করা সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা এ হোটেলে দেশী-বিদেশী সেবাগ্রহীতাদের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কমপক্ষে ১৭টি দেশ থেকে যাবতীয় সরঞ্জাম আনতে হয়েছে। সব কাজ শেষ করে আগামী বছরের মধ্যে হোটেলটি চালু হয়ে যাবে বলে তার আশা। চলমান আরেক হোটেল প্রকল্প ‘হায়াত সেন্ট্রিক হোটেল অ্যান্ড সার্ভিসড অ্যাপার্টমেন্ট’-এর কাজ ২০২১ সালের মধ্যে শেষ করে এর কার্যক্রম চালুর ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি। একই সময়ে উৎপাদন শুরুর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে মেঘনাঘাটের ৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটির। সোনারগাঁ ইকোনমিক জোন নামের বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রমও ২০২১ সালের মধ্যে চালু করতে চান উদ্যোক্তারা। কোম্পানি সচিব জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলে কোম্পানিটির ৩৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা থাকবে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেডের হাতে। অন্যদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৬৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ শেয়ারের মালিকানায় থাকছে কোম্পানিটির। হোটেল প্রকল্পগুলো কোম্পানির একেকটি বিজনেস ইউনিট। এজিএমে কোম্পানির ঘোষিত লভ্যাংশ, সেকেন্ডারি বাজারে শেয়ারের দর নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন কয়েকজন শেয়ারহোল্ডার। ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশে সন্তোষ প্রকাশ করলেও শেয়ারের দাম নিয়ে কেউ কেউ হতাশা প্রকাশ করেছেন। শেয়ারহোল্ডারদের হতাশার পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক গোলাম মুস্তাফা বলেন, দেশের অনেক কোম্পানির একাধিক নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন থাকে। কিন্তু ইউনিক হোটেলের রিপোর্ট একটিই এবং তা খুবই স্বচ্ছ। পর্ষদ চেয়ারম্যান সেলিনা আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এজিএমে ২০১৭-১৮ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন এবং ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনায় বিনিয়োগের এজেন্ডাও অনুমোদন করেছেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। আগামীতে আরো বেশি লভ্যাংশ দেয়ার আশা প্রকাশ করে এজেন্ডা অনুমোদনের পর সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন পর্ষদ চেয়ারম্যান সেলিনা আলী। সভায় অন্যদের মধ্যে পরিচালক নাবিলা আলী, মো. খালেদ নূর, মোহাম্মদ মহসীন, গাজী মো. সাখাওয়াত হোসেন, চৌধুরী নাফিজ সারাফাত, স্বতন্ত্র পরিচালক রোটারিয়ান গোলাম মুস্তাফা, কোম্পানি সচিব মো. শরীফ হাসান এসিএস, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা জনি কুমার গুপ্ত এফসিএ,  এবং কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সমাপ্ত অর্থ বছরে কোম্পানিটির আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ১ টাকা ৮০ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ৮৮ টাকা ৮২ পয়সা।

আরও পড়ুন:

বিষয়: