পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে চায় ইউআরও এগ্রোভেট
Reporter01
93
প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে চায় ইউআরও এগ্রোভেট লিমিটেড। কোম্পানিটি পুঁজিবাজারের স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর প্লাটফর্ম এসএমইতে ইনিশিয়াল কোয়ালিফাই ইনভেস্টর অফারের (আইকিউআইও) মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা তুলতে চায়। পুঁজিবাজারে আসতে কোম্পানিটি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে আবেদন করেছে।
জানা গছে, কোম্পানিটি কিউআইও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০ কোটি টাকা তুলবে। তা দিয়ে ব্যবসা প্রসারিতকরণ, ফার্মটি ভূমি উন্নয়নের জন্য ১০ লাখ টাকা, প্ল্যান্ট ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ৭.৬৫ কোটি টাকা, ভবন ও নির্মাণের জন্য ২ কোটি টাকা এবং কিউআইও ব্যয়ের জন্য ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করতে চায়।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। ইউআরও এগ্রোভেট লিমিটেড মূলত একটি কৃষিভিত্তিক ফিড এবং ওষুধ উৎপাদনে বিশেষজ্ঞ কোম্পানি। ব্যবহারযোগ্য দুগ্ধজাত খাবার, ফিড সাপ্লিমেন্ট এবং গবাদি পশুর ওষুধের প্রস্তুতকারক এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।
খুলনা ও ফেনীতে প্রতিষ্ঠানটির দুটি কারখানা রয়েছে। এটি খুলনা ইউনিটে HYTOP FEED ব্র্যান্ড নামে বিভিন্ন ধরনের দুগ্ধজাত খাবার তৈরি করে। ফেনী ইউনিটে তরল, পাউডার এবং ভেষজ আকারে ফিড পণ্য, খাদ্যের পরিপূরক, ভিটামিন এবং খনিজ উৎপাদন করে।
কোম্পানিটির দেশব্যাপী পণ্য বিতরণের জন্য নিজস্ব বিতরণ নেটওয়ার্ক রয়েছে। কারখানায় উৎপাদিত সমস্ত পণ্য ডিলার এবং খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে বিতরণ করা হয়।
পশু স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান প্রতিযোগীদের মধ্যে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, রেনাটা, ইনসেপ্টা এবং এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ডেইরি ফিড বিভাগে, প্রতিযোগীরা হল এসিআই গোদরেজ এগ্রোভেট, প্যারাগন পোল্ট্রি, নুরিশ পোল্ট্রি, কাজী ফার্মস, ইনডেক্স এগ্রো এবং নাবিল পোল্ট্রি লিমিটেড।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ২৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২.৭৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.৪৬ কোটি টাকা । অথ্যাৎ ছয় মাসে মুনাফা ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০.৮০ টাকা । ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষে শেয়ার প্রতি নেট সম্পদ মূল্য ১২.৮০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা, যেখানে পরিশোধিত মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩৩.৬৯ কোটি টাকা।