শেয়ার কেনার বিষয়ে সানোফির সাথে বেক্সিমকো ফার্মার চুক্তি
নিউজ ডেস্ক
266
প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্যোক্তাদের সব শেয়ার কিনে নেওয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। বেক্সিমকো ফার্মা সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ, বিশ্বব্যাপী ব্যবসা পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে থাকা সানোফির সব শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে এর প্রধান দুই শেয়ারহোল্ডার যুক্তরাজ্যভিক্তি ফাইসন্স লিমিটেড এবং মে অ্যান্ড বেকার লিমিটেড। এ লক্ষ্যে আহ্বান করা এক নিলামে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ দাম প্রস্তাব করে ওই শেয়ার কেনার জন্য যোগ্য মনোনীত হয় বেক্সিমকো ফার্মা।
ফাইসন্স লিমিটেড এবং মে অ্যান্ড বেকার লিমিটেড তাদের কাছে থাকা সানোফির ১৯ লাখ ৩ হাজার ২৪১টি শেয়ার বিক্রি করছে। এর মধ্যে ফাইসন্স বিক্রি করছে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৭২৫টি শেয়ার। আর ১০ লাখ ৭৬ হাজার ৫১৬ই শেয়ার বিক্রি করছে মে অ্যান্ড বেকার। প্রতি শেয়ার ৪ হাজার ৪৪৫ টাকা দরে মোট ৪৮০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করা হচ্ছে।
এর মধ্য দিয়ে সানোফি বাংলাদেশ এর ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক হচ্ছে বেক্সিমকো ফার্মা।
দেশে বিদ্যমান আইন অনুসারে, বিদেশে অর্থ প্রত্যাবাসন করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের আগাম অনুমতি প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠান দুটিকে শেয়ার বিক্রির অর্থ প্রত্যাবাসন করার অনুমতি দিয়েছে।
কয়েকটি শর্তে সানোফির শেয়ার বিক্রির অর্থ প্রত্যাবাসনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্ত অনুসারে, ফাইসন্স লিমিটেড এবং মে অ্যান্ড বেকার লিমিটেডের ধারণকৃত আলোচিত ১৯ লাখ ৩ হাজার ২৪১ শেয়ার নিবাসীর (বেক্সিমকো ফার্মা) নিকট বিক্রি/ হস্তান্তরের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনগত আনুষ্ঠানিকতার পরিপালন সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ট্যাক্স, মার্চেন্ট ব্যাংকের ফি, লিগ্যাল ফি, ফিন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইজরি ফি, মূলধনী মুনাফা কর (Capital Gain Tax) ইত্যাদি কেটে রাখতে হবে।
বেক্সিমকো ফার্মার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা নতুন নতুন পণ্য (ওষুধ) উৎপাদন এবং দেশে ও বিদেশের বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেডকে অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।
সানোফি-অ্যাভেন্টিস ফ্রান্সভিত্তিক একটি কোম্পানি। এটি বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম ওষুধ কোম্পানি। বাংলাদেশে স্বাধীনতার আগে থেকে (১৯৫৮ সাল) ব্যবসায়রত এই কোম্পানিতে সরকারেরও মালিকানা রয়েছে। ২০০৪ সালে আরেক বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি অ্যাভেন্টিসকে অধিগ্রহন করে সানোফি। এরপর নতুন নাম হয় সানোফো-অ্যাভেন্টিস। ২০১৩ সালে আবার কোম্পানিটির নাম বদল করে নতুন নাম সানোফি বাংলাদেশ ধারণ করে।
সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেডের রয়েছে স্টেট অব দ্যা আর্ট প্রোডাকশন সুবিধা। প্রায় ২৫ একর জমির উপর এর কারখানা। কোম্পানিটি অ্যান্টিবায়োটিক, স্যাফালোস্ফুরিনসহ ১০০ জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন করে থাকে।