ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
১১ জুন ২০২৪

সানোফির শেয়ার বিক্রির টাকা প্রত্যাবাসনের অনুমতি মিলেছে


নিউজ ডেস্ক
230

প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
সানোফির শেয়ার বিক্রির টাকা প্রত্যাবাসনের অনুমতি মিলেছে



বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি সানোফি-অ্যাভেন্টিসের শেয়ার বিক্রি করে টাকা প্রত্যাবাসনের অনুমতি পেয়েছে কোম্পানিটির বিদেশী শেয়ারহোল্ডার যুক্তরাজ্যভিক্তি ফাইসন্স লিমিটেড এবং মে অ্যান্ড বেকার লিমিটেড। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এই অনুমতি দিয়েছে। কোম্পানি দুটি তাদের কাছে থাকা সানোফির ১৯ লাখ ৩ হাজার ২৪১টি শেয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের কাছে বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ফাইসন্স বিক্রি করেছে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৭২৫টি শেয়ার। আর ১০ লাখ ৭৬ হাজার ৫১৬ই শেয়ার বিক্রি করেছে মে অ্যান্ড বেকার। প্রতি শেয়ার ৪ হাজার ৪৪৫ টাকা দরে মোট ৪৮০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। দেশে বিদ্যমান আইন অনুসারে, বিদেশে অর্থ প্রত্যাবাসন করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংক আগাম অনুমতি প্রয়োজন হয়। জানা গেছে, কয়েকটি শর্তে সানোফির শেয়ার বিক্রির অর্থ প্রত্যাবাসনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্ত অনুসারে, ফাইসন্স লিমিটেড এবং মে অ্যান্ড বেকার লিমিটেডের ধারণকৃত আলোচিত ১৯ লাখ ৩ হাজার ২৪১ শেয়ার নিবাসীর (বেক্সিমকো ফার্মা) নিকট বিক্রি/ হস্তান্তরের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনগত আনুষ্ঠানিকতার পরিপালন সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ট্যাক্স, মার্চেন্ট ব্যাংকের ফি, লিগ্যাল ফি, ফিন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইজরি ফি, মূলধনী মুনাফা কর (Capital Gain Tax) ইত্যাদি কেটে রাখতে হবে। উল্লেখ, বিশ্বব্যাপী ব্যবসা পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাবাসন করছে সানোফি-অ্যাভেন্টিসের দুই প্রধান শেয়ারহোল্ডার ফাইসন্স লিমিটেড ও মে অ্যান্ড বেকার লিমিটেড। তাদের কাছে থাকা কোম্পানির প্রায় ৫৫% শতাংশ শেয়ার বিক্রি করার জন্য চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি নিলামের আয়োজন করা হয়। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মা ওই শেয়ার কিনে নেওয়ার জন্য যোগ্য মনোনীত হয়। বাংলাদেশ শাখাকে অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মা সানোফির ৫৫ শতাংশ শেয়ার কেনার জন্য যোগ্য নির্বাচিত হয়েছে। সানোফি-অ্যাভেন্টিস ফ্রান্সভিত্তিক একটি কোম্পানি। এটি বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম ওষুধ কোম্পানি। বাংলাদেশে স্বাধীনতার আগে থেকে  (১৯৫৮ সাল) ব্যবসায়রত এই কোম্পানিতে সরকারেরও মালিকানা রয়েছে। যৌথ উদ্যোগের এই কোম্পানির ১৯ লাখ ৬৩ হাজার ২৪১টি শেয়ার তথা ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক ফাইসন্স লিমিটেড এবং মে অ্যান্ড বেকার লিমিটেড। বাকী ৪৫ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক বাংলাদেশ সরকার। ফাইসন্স লিমিটেড এবং মে অ্যান্ড বেকার লিমিটেডের কাছে থাকা সব শেয়ারই বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: