বাংলাদেশ ব্যাংকের শর্ত মেনেই বিনিয়োগ করেছে পদ্মা ব্যাংক
নিউজ ডেস্ক
147
প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২১
‘অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড অব বাংলাদেশে’ বিনিয়োগ নিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) জবাব দিয়েছে পদ্মা ব্যাংক। গত ১৪ মার্চ বিএসইসিতে পাঠানো চিঠিতে পদ্মা ব্যাংকের এমডি এহসান খসরু জানিয়েছেন, যে তহবিলে বিনিয়োগ করা হয়েছে, সেটি বিএসইসির অনুমোদিত। বিএসইসিই লাইসেন্স দিয়েছে। তাছাড়া ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়েই বিনিয়োগটি করা হয়েছে। এটি যথাযথভাবে গৃহীত এবং এর যাবতীয় তথ্য আর্থিক বিবরণীতে সংরক্ষিত, যা প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অবহিত করা হয়েছে। তারপরও স্বার্থন্বেষী মহল থেকে ব্যাংকের বিনিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে, যার অনুলিপি বিএসইসিতেও দেওয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বিষয়টি সম্পর্কে জানাতে পদ্মা ব্যাংকে চিঠি দেয় বিএসইসি।
বিএসইসির সেই চিঠির জবাবে পদ্মা ব্যাংক জানায়, ২০১৫ সালের নভেম্বরে ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের জারি করা সার্কুলার নাম্বার-২এর শর্ত মেনেই এ বিনিয়োগ করা হয়েছে। ওই সার্কুলারে বিএসইসি কর্তৃক নিবন্ধিত বিশেষ উদ্দেশ্যে গঠিত এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভ‚ক্ত নয় এমন কোন তহবিলে তফসীল ব্যাংকে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে এ ধরনের তহবিলে বিনিয়োগের অঙ্গীকার করার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অভিপ্রায় সম্বলিত গৃহীত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগে দাখিল করার শর্ত রাখা হয়েছে।
পদ্মা ব্যাংক জানাচ্ছে, ২০১৫ সালে ব্যাংকের ১৪তম পর্ষদ সভায় যথাযথ আলোচনার মাধ্যমেই বিনিয়োগ সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন তৎকালীন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খান আলমগীর। সভার কার্যবিবরণীতে তাঁর সই রয়েছে। অথচ তিনিই এ বিনিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। এ অভিযোগের কোন নিয়ন্ত্রক সংস্থার মনোযোগ পাওয়ার কোন কারণ নেই।
পদ্মা ব্যাংক আরও জানিয়েছে, এ বিনিয়োগ থেকে কোন লভ্যাংশ না পাবার যে অভিযোগ করা হয়েছে তাও অপপ্রচার। এ বিনিয়োগ ব্যাংক নিয়মিত বিনিয়োগ পেয়ে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে এ বিষয়ে নিয়মিত অবহিত করা হয়ে থাকে।
পদ্মা ব্যাংক ২০১৩ সালে ফর্মাস ব্যাংক নামে যাত্রা শুরু করে। যার চেয়ারম্যান ছিলেন মহিউদ্দিন খান আলমগীর। যার নেতৃত্ব নজিরবিহীন ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবতে বসে ব্যাংকটি। আর এতে তাঁর অন্যতম সহযোগী ছিলেন ব্যাংকটির অডিট কমিটির তৎকালীন চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিষতি। পরে ব্যাংকটি রক্ষায় এগিয়ে আসে সরকার। মহিউদ্দিন খান আলমগিরকে সরিয়ে পুনর্গঠন করা হয় পর্ষদ। তহবিল ঘাটতি মেটাতে মালিকানায় যুক্ত করা হয় রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংকগুলোকে। তারপর থেকেই বর্তমান পর্ষদের নেতৃত্বে ধীরে ধীরে ঘুছিয়ে উঠতে শুরু করেছে ব্যাংকটি।
পদ্মা ব্যাংক বলছে, যখন অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, তখন ব্যাংকের বিনিয়োগ নিয়ে বানোয়াট গল্প ফেঁদে অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন মহিউদ্দিন খান আলমগীর। এর মাধ্যমে ব্যাংকটিকে ধ্বংস করার নিজের দ্বায় অনের ঘারে চাপাতে চাচ্ছেন তিনি।