ডিএসই কোন কোম্পানিকে ডিলিস্টিং করতে পারে না : রকিবুর রহমান
নিউজ ডেস্ক
163
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০২১
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক রকিবুর রহমান বলেছেন, আমাদের কোন ক্ষমতা নেই। আমরা ডিলিস্টিং করতে পারি না। আমরা তদন্ত (ইনভেস্টিগেশন) করতে পারি না।
বুধবার, ২০ জানুয়ারি ডিএসইর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, এসিআই কোম্পানি নিয়ে আমরা তদন্ত করেছি। এজন্য উল্টো আমাদেরকে হাজিরা দিতে হল। আপনারা সবই জানেন। আমরা খারাপ কোনটা করলাম। এছাড়া গত ১০ বছরে আইপিওর ক্ষেত্রে দেখেন, আমরা কয়টা পরামর্শ দিয়েছি। ৯০ টার মধ্যে মাত্র ১৫-২০টা দিয়েছি। আমাদের পরামর্শ দেওয়া কোম্পানিগুলোই ভালো আছে।
বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র সম্প্রতি প্রশ্নবিদ্ধ সার্কুলারের বিষয়ে জানতে চাইলে রকিবুর রহমান বলেন, তারা একটি রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান। এখন তারা যদি কোন বক্তব্য দেয় বা কিছু করে, তাহলে আমরা কি করতে পারি। একইভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক যদি ব্যাংকিং খাতের জন্য কিছু করে, তাহলেই বা আমরা কি করতে পারি। তবে হ্যা এটা নিয়ে আমরা লিখতে পারব, টেলিভিশনে বলতে পারব।
আজ কেউ বলবে ওই সেক্টর ভালো হয়ে যাবে, কেউ বলবে ওমুক কোম্পানি ভালো ডিভিডেন্ড দেবে- এখন এ জাতীয় বক্তব্যের ক্ষেত্রে আমরা কি বলব। তবে ডিএসইর পক্ষ থেকে কখনো এ জাতীয় কথা বলা হয় না বলে জানান ডিএসইর এই পরিচালক।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের আলোকে ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বলেন, এক্সচেঞ্জ শুধুমাত্র সার্ভেইলেন্সের মাধ্যমে ত্রুটি পেলে, তা কমিশনকে জানাতে পারে। তবে সম্প্রতি আমরা কমিশনকে আরও কিছু দায়িত্ব দেওয়ার জন্য বলেছি।
তিনি বলেন, ২০১০ সালের আগে আইনি কাঠামো খুবই দূর্বল ছিল। তবে গত ১০ বছরে অনেক আইন-কানুন করা হয়েছে। এরমধ্যে কিছু ঘাটতি থাকতে পারে। তবে ১৯৯৬ ও ২০১০ এর পূণরাবৃত্তি দেখতে পাব না। তবে সব দেশের ন্যায় শেয়ারবাজারে উত্থান-পতন থাকবে। এটা স্বাভাবিক।
সম্প্রতি লেনদেনে আইটির সমস্যা নিয়ে ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আইটি নিয়ে অনেকখানি পিছিয়ে রয়েছি। যেখানে ডিএসইর একটি সেন্ট্রাল অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিষ্টেম (ওএমএস) দিয়ে ২৫০ ব্রোকারেজ হাউজ চালানো হচ্ছে, সেখানে উন্নত দেশে একটি ট্রেকহোল্ডারেরই এমন ওএমএস সিষ্টেম রয়েছে। এ সমস্যা কাটিয়ে তুলতে চীনা কৌশলগত বিনিয়োগকারী আমাদেরকে সাপোর্ট দেবে। তারা প্রস্তুতিও নিচ্ছে। আমরাও তা গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
২০১০ সালে বেশি লেনদেন নিয়ে সমস্যা না হলেও সম্প্রতি হওয়ার বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ২০১০ সালে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে লট প্রথা ছিল। তবে এখন লট প্রথা না থাকায় ১-২টি শেয়ারের জন্যও অর্ডার দেওয়া যাচ্ছে। যে কারনে ২০১০ সালের থেকে এখন অর্ডার পড়ছে অনেক বেশি। এছাড়া অহেতুক অর্ডার দাখিল করা হচ্ছে। অথচ কার্যকর হয় হয়তো ২০-২৫ শতাংশ অর্ডার। এই অতিরিক্ত অর্ডার দাখিলের কারনেই মূলত সমস্যা হচ্ছে।
তিনি বলেন, চীনা কৌশলগত বিনিয়োগকারী থেকে আইটি বিষয়ে সহযোগিতা নেওয়ার জন্য ২ বছর সময় লাগবে। বর্তমানে আইটি সাপোর্ট নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ডিএসইর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সালমা নাসরিন এনডিসি, মুন্তাকিম আশরাফ, মোহাম্মদ শাহজাহান, ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন পাটোয়ারি, উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।