ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে তলব


নিউজ ডেস্ক
152

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারী ২০২১
পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে তলব



আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের অনুকূলে ৩১ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার ফেরত দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানাতে পিপিলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান এম মোয়াজ্জেম হোসেনসহ পাঁচজনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ওই পাঁচজনকে আদালতে সশরীর হাজির হয়ে তাঁদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। মোয়াজ্জেম ছাড়া অন্যরা হলেন ফারজানা মোয়াজ্জেম, এহসান-ই-মোয়াজ্জেম এবং ই-সিকিউরিটিস লিমিটেড ও গ্রেট ওয়ালস ল্যান্ড প্রোপার্টি লিমিটেডের প্রতিনিধি। অবসায়নপ্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিকুডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খান গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ওই আবেদনটি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম। আইনজীবী সূত্র জানায়, পিপলস লিজিং ২০১৫ সালে এস এস স্টিল লিমিটেডকে আইপিও (ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) শেয়ার কেনার জন্য ৬ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়। এস এস স্টিল লিমিটেড ২০১৮ সালে আইপিও অনুমোদন পায়। এরপর ওই টাকার বিপরীতে ১০ টাকা মূল্যের ৩১ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার পিপলস লিজিংয়ের অনুকূলে স্থানান্তর করা হয়। বাকি ৩১ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার পিপলস লিজিংয়ের অনুকূলে স্থানান্তর না করে মোয়াজ্জেম হোসেনের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসেবে স্থানান্তর করা হয়। তিনি তখন পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান ছিলেন। আইনজীবী মেজবাহুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের অনুমোদন নিয়ে পিপলস লিজিং অবসায়ন প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে প্রবেশনাল লিকুডেটর মো. আসাদুজ্জামান খান কোম্পানি আইনে ওই আবেদনটি করেন। আবেদনে মোয়াজ্জেম হোসেনের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবে স্থানান্তর করা ৩১ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার ও লভ্যাংশসহ পিপলস লিজিংয়ে ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট কারণ দর্শাতে মোয়াজ্জেম হোসেন, তাঁর পরিবারের দুজন সদস্য ও তাঁর মালিকানাধীন ওই দুই কোম্পানিকে তলব করেছেন। উল্লেখ্য, পি কে হালদারের দখল করা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পিপলস লিজিংও ছিল। তিনি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল।

আরও পড়ুন: