ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
১১ জুন ২০২৪

টানা ৫ কার্যদিবস হলট্রেড, তবুও বিক্রেতা নেই রবির শেয়ারের


নিউজ ডেস্ক
148

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারীফেব্রুয়ারি ২০২০
টানা ৫ কার্যদিবস হলট্রেড, তবুও বিক্রেতা নেই রবির শেয়ারের



আগের চার কার্যদিবসের মতো আজও লেনদেন শুরুর অল্প সময়ের মধ্যেই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের প্রতি কার্যদিবসেই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করল। ২৪ ডিসেম্বর লেনদেন শুরু হওয়ার পর টানা ৫ কার্যদিবস হলট্রেড হলেও যাদের কাছে কম্পানিটির শেয়ার রয়েছে তাদের একটি অংশ কম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে কম্পানিটির শেয়ারের ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা এক প্রকার উধাও হয়ে গেছে। আজ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) লেনদেনের শুরুতে ২৮ টাকা ৯০ পয়সা করে কম্পানিটির ৪ হাজার ৮০০ শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। তবে এ দামে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটি বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর কয়েক দফা দাম বেড়ে ২৯ টাকা ৮০ পয়সা করে ৫ কোটি ৯১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৬৬টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এর মাধ্যমে দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে কম্পানিটি। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করা রবির শেয়ার গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়। ওই দিন লেনদেনের শুরুতে ১৪ টাকা করে কম্পানিটির ২ লাখ ৬১ হাজার ১৭০টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। তবে কেউ এ দামে বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর কয়েক দফা দাম বেড়ে সর্বশেষ ১৫ টাকা করে ১৭ কোটি ৫২ লাখ ১৬ হাজার ৬৬২টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এতেই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে। তবে এরপরও কোনো বিনিয়োগকারী তাদের কাছে থাকা কম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। ফলে ক্রেতা থাকলেও শেয়ারের বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে। এরপর প্রতিটি কার্যদিবসে একই দৃশ্যের অবতারণা হচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে অনুমোদন নিয়ে রবি আজিয়াটার আইপিওতে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ১৭ নভেম্বর। যা চলে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং আইপিও খরচের জন্য রবিকে অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই টাকা তোলার জন্য কম্পানিটি ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি সাধারণ শেয়ার আইপিওতে ইস্যু করে। এর মধ্যে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার কম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ইস্যু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: