ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
১১ জুন ২০২৪

অনুমতি ছাড়া আলহাজ টেক্সটাইলের সম্পদ বিক্রি নয়, তদারকিতে কমিটি


নিউজ ডেস্ক
176

প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারীফেব্রুয়ারি ২০২০
অনুমতি ছাড়া আলহাজ টেক্সটাইলের সম্পদ বিক্রি নয়, তদারকিতে কমিটি



বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলসে দুই বছরের আর্থিক অবস্থা নিরীক্ষার জন্য বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে কোম্পানিটির সার্বিক তদারকির জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোম্পানির কোনো সম্পদ বিক্রি, বন্ধকী, হস্তান্তর বা নিষ্পত্তি করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ২৯ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। এতে সই করেছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আলহাজ টেক্সটাইলের সর্বশেষ দুই অর্থবছরের আর্থিক হিসাবসহ (২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০) কোম্পানির সার্বিক বিষয় নিরীক্ষার জন্য কমিশন বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ব্যয়ভার বহন করবে কোম্পানি। একইসঙ্গে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে নিরীক্ষকের চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা করতে হবে। কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোম্পানির কোনো সম্পদ বিক্রি, বন্ধকী, হস্তান্তর বা নিষ্পত্তি করা যাবে না বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। বিএসইসির এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আলহাজ্ব টেক্সটাইল ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমেছে। এরপর কোম্পানিটির কোনো উন্নতি হয়নি। এছাড়া কোম্পানির উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা মাত্র ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার ধারণের মাধ্যমে বিএসইসির সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের নির্দেশনা ভঙ্গ করেছে। ‘অথচ কোম্পানিটিতে ৮৭ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেও সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা গত ২ অর্থবছর ধরে কোনো লভ্যাংশ পাচ্ছে না। যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্ষতিকারক ও কমিশনের কাছে অপ্রত্যাশিত।’ এসব বিবেচনায় আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলসের চলমান দুরবস্থা কাটিয়ে তোলার জন্য কমিশনের একজন নির্বাহী পরিচালক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একজন সিনিয়র অফিসার ও কমিশনের নিয়োগ করা একজন স্বতন্ত্র পরিচালকের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। যারা আলহাজ্ব টেক্সটাইলের সার্বিক বিষয় তদারকি করবেন। এই কমিটি কোম্পানির ৩৭তম ও ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) তদারকি করবেন। যা ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে কোম্পানিকে শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে- বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: