২৫ লাখ টাকা দিয়েই করা যাবে এক ব্যক্তির কোম্পানি
নিউজ ডেস্ক
139
প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারীফেব্রুয়ারি ২০২০
উন্নত দেশগুলোতে থাকলেও দেশে এত দিন এক ব্যক্তির কোম্পানি করার সুযোগ ছিল না। কোম্পানি আইন সংশোধন করে সুযোগটি দিয়েছে সরকার।
- এক ব্যক্তির কোম্পানি বা ওপিসির পরিশোধিত মূলধন হবে ২৫ লাখ থেকে ৫ কোটি টাকা।
- কোম্পানির ধরন অনুযায়ী নামের শেষে লিমিটেড, পিএলসি ও ওপিসি উল্লেখ করতে হবে।
৫০ লাখ টাকাও আর লাগবে না, ২৫ লাখ টাকা দিয়েই গঠন করা যাবে এক ব্যক্তির কোম্পানি বা ওয়ান পারসন কোম্পানি (ওপিসি)। দেশে প্রথমবারের মতো এ সুযোগ তৈরি করেছে সরকার। কোম্পানি আইন সংশোধন করে সুযোগটি দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন সংশোধন করে গত ২৬ নভেম্বর ‘কোম্পানি (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০২০’–এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
উন্নত দেশগুলোতে থাকলেও ওপিসির ধারণা বাংলাদেশে একেবারেই নতুন। জাতীয় সংসদে উত্থাপিত আইন সংশোধনের বিলসংক্রান্ত বিবৃতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও অধিকতর সহজীকরণের জন্য ওপিসি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর সংসদে পাঠানো বিলে বলা হয়েছিল, ওপিসির পরিশোধিত মূলধন হবে ৫০ লাখ থেকে দুই কোটি টাকার মধ্যে। আর তা গঠনের আগের অর্থবছরের বার্ষিক টার্নওভার বা মোট লেনদেন হতে হবে দুই কোটি থেকে ১০০ কোটি টাকা। এর চেয়ে বেশি হলে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ সাপেক্ষে যেকোনো ওপিসি প্রাইভেট বা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা যাবে।তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এক ব্যক্তির কোম্পানি গঠনকে সহজ করতে শর্তগুলো আরও শিথিল করে। পরিশোধিত মূলধন ৫০ লাখের বদলে ২৫ লাখ টাকা করার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি। আর সর্বোচ্চ পরিশোধিত মূলধনের সুপারিশ করে দুই কোটির পরিবর্তে পাঁচ কোটি টাকা। এদিকে কোম্পানি গঠনে আগের অর্থবছরের বার্ষিক টার্নওভার ২ কোটি থেকে ১০০ কোটি টাকার প্রস্তাব থাকলেও তা শিথিল করে ১ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। শেষ পর্যন্ত এভাবেই আইনটি পাস হয় জাতীয় সংসদে। ওপিসিকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা মনে করেন, এতে দেশে উদ্যোক্তা বাড়বে, ব্যাংকের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক জোরদার হবে। দরকার না থাকলেও যে কখনো কখনো ব্যবসায়ে অংশীদার নিতে হয়, ওপিসি হওয়ার পর ব্যবসায়ীদের সেই পথে আর যেতে হবে না।