ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
১১ জুন ২০২৪

ডিজিটাল মামলায় জামিন পেলেন ডিএসই'র পরিচালক ইমন


নিউজ ডেস্ক
176

প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
ডিজিটাল মামলায় জামিন পেলেন ডিএসই'র পরিচালক ইমন



স্টাফ রিপোর্টার : ডিজিটাল আইনের মামলায় গ্রেফতার হওয়ার চার মাস পর জামিনে মুক্ত হয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন। সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর দ্রুত জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছালে সোমবারই তাকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গত ৬ মে মিনহাজ মান্নানকে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের অভিযোগ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১, ২৫(১)(খ), ৩১ ও ৩৫ ধারায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। চলতি বছরের মে মাসের শুরুতেই রমনা থানায় ইমনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিল র‌্যাব। গ্রেফতারের পর ৬ মে রাতেই তাকে রমনা থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরদিন আদালতে তুললে বিচারক জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। যদিও এ মামলায় মিনহাজ মান্নানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছিল না। শুধুমাত্র প্রধান অভিযুক্তদের সঙ্গে ফেসবুক ফ্রেন্ড হিসেবে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে, মিনহাজ মান্নান হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ব্যক্তিগত পর্যায়ে এক অভিযুক্তের সঙ্গে রাষ্ট্রবিরোধী চ্যাটিং করেছেন। তবে ওই চ্যাটিংয়ের কথাগুলো কী ছিল, তা মামলার এজাহারে উল্লেখ নেই। মিনহাজ মান্নান ছাড়াও র‌্যাবের দায়ের করা এ মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী মুশতাক গ্রেফতার হয়েছিলেন। মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন- আসিফ মহিউদ্দিন, তাসনিম খলিল, সায়ের জুলকারনাইন, আসিফ ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ, সালেহ আলম ও ফিলিপ শুমাখার। র‌্যাবের অভিযোগ, এ মামলার অভিযুক্তরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেইজ ব্যবহার করে জাতির পিতা, মুক্তিযুদ্ধ, করোনা ভাইরাস মহামারি সম্পর্কে গুজব এবং রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তী ক্ষুণ্ন করতে নানা অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে সমাজে ও রাষ্ট্রে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছিলেন। তবে অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে রাষ্ট্রবিরোধী স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগ আনলেও মিনহাজ মান্নান এবং দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে র‌্যাব সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনেনি। কেবল মামলার অভিযুক্ত মুশতাকের ফেসবুক ফ্রেন্ড উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক ম্যাজেঞ্জারে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: