শেয়ার ও অর্থ আত্মসাতকারী ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের এমডি গ্রেপ্তার
নিউজ ডেস্ক
182
প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার : বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থ আত্মসাৎ করে ব্রোকারেজ হাউজ গুটিয়ে লাপাত্তা হওয়া ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শহীদ উল্লাহ, তার স্ত্রী নিপা সুলতানাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃত অন্য দুজন হলেন—মো. খোরশেদ ও মো. জুয়েল।
সোমবার, ৬ জুলাই বেলা ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর- নোয়াখালী সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবির রমনা বিভাগ।
এর আগে গত ২৩ জুন বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দেয় শেয়ার ও ইউনিট বেচা-কেনার মধ্যস্থতাকারী ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মালিকেরা। ওইদিন থেকে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রয়েছে। তাকে খুঁজে না পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই হাউজের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীরা।
এই ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তড়িৎ গতিতে পদক্ষেপ নেয়। তারা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ২ প্রতিনিধিসহ ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। যে কমিটি বিনিয়োগকারীদের অর্থ লুপাটের পরিমাণসহ বিস্তারিত তুলে ধরবে। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি করলেও তারা কেনো মুঠোফোনে ম্যাসেজ পায়নি, এজন্য সিডিবিএলের কোন ঘাটতি আছে কিনা, তা অনুসন্ধান করবে।
এছাড়া হাউজটির মালিকরা যেনো বিদেশে যেতে না পারে, সেলক্ষে ডিএসই থেকে পল্টন থানায় অভিযোগ করা হয়। একইসঙ্গে মালিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ করে। এখন তাদের ১০টির বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।
ব্রোকারেজ হাউজটিতে ২১ হাজার বিনিয়োগকারীর ৮২ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট ফ্রিজ করা হলেও তাদের দেনা-পাওনার বিষয়টি এখনো পরিস্কার না। ৮২ কোটি টাকার বাহিরে ওই হাউজে বিনিয়োগকারীদের অজান্তে কত টাকার শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে বা নগদ কতটাকা পাওনা রয়েছে, তা পরিস্কার না।
বন্ধ করার আগে ওই হাউজটি থেকে প্রায় ৭০ লাখ টাকার শেয়ার কেনা হয়। তবে এর বিনিময়ে ডিএসইকে দেওয়া চেক বাউন্স করে। ফলে হাউজটির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ডিএসই। তাদের কাউকে না পেয়ে কেনা শেয়ারগুলো সাময়িকভাবে ফ্রিজ করে রাখে। পরবর্তীতে ওই শেয়ারগুলো বিক্রি করে পাওনা পরিশোধ করে ডিএসই।
কিছু কিছু বিনিয়োগকারীকে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ থেকে দেওয়া চেকও বাউন্স করেছে। হাউজ থেকে তাদেরকে চেক দেওয়া হয়েছে টাকা তোলার জন্য। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে তারা দেখে একাউন্টে কোন টাকা নেই। এ হাউজটির ৩টি শাখা রয়েছে- নারায়ণগঞ্জ, ঢাকার বারিধারা ও কুমিল্লায়। রাজধানীর পল্টনে হাউজটির হেড অফিসসহ সবগুলো শাখাই বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
সূত্র : বিজনেস আওয়ার
আরও পড়ুন:
অন্যান্য সম্পর্কিত আরও
বিদায়েও গৌরব কমছে না ফিলিস্তিনের
৩০ জানুয়ারী ২০২৪
মাস্টার ফিড এগ্রোতে সাড়ে ৩৭ গুণ বেশি আবেদন
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
কিউআইও’র মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের সিদ্ধান্ত সলিড ফিডের
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
মোস্তফা মেটালের কিউআইওতে আবেদন শুরু ২৬ সেপ্টেম্বর
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
মাস্টার ফিডের কিউআইওতে আবেদন শেষ কাল
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
মোস্তফা মেটালের কিউআইওতে আবেদন শুরু ২৬ সেপ্টেম্বর
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১