বিক্রি হলো গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বিডি
নিউজ ডেস্ক
134
প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার : গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশ লিমিটেড বিক্রি হয়ে গেছে। বহুজাতিক এই কোম্পানিটির প্রধান মালিক যুক্তরাজ্যের সেট ফার্স্ট লিমিটেডের কাছে থাকা সব শেয়ার কিনে নিয়েছে অপর বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার ওভারসিজ হোল্ডিংস বিভি।
রবিবার, ২৮ জুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এই লেনদেন তথা শেয়ার কেনাবেচার বিষয়টি নিষ্পন্ন হয়েছে। ব্লক মার্কেটে এই শেয়ারগুলো কেনাবেচা হয়েছে। ডিএসই ও জিএসকে সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ, বিশ্বব্যাপী ব্যবসা পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে ২০১৮ সালে জিএসকে বাংলাদেশ ও ভারতসহ ২২টি দেশে তাদের ভোক্তা পণ্যের ব্যবসা বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আর এই ব্যবসা কিনে নিতে প্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি করে ইউনিলিভার।
জিএসকে বাংলাদেশ এর দুটি ইউনিট ছিল। এর একটি হচ্ছে ভোক্তা পণ্য ইউনিট যার মধ্যে আছে হরলিক্স, বুস্টসহ নানা ধরনের পণ্য। এই জাতীয় পণ্যের বাজারে এখনো জিএসকে মার্কেট লিডার। কোম্পানিটির আরেকটি ইউনিট ছিল ফার্মাসিউটিক্যালস। তবে টানা লোকসান ও ব্যবসা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই ইউননিটটি গত বছর বন্ধ হয়ে গেছে।
নানা প্রক্রিয়া শেষে সেট ফার্স্ট গত ২৫ জুন গ্ল্যাক্সো বাংলাদেশকে তাদের শেয়ার বিক্রির চূড়ান্ত অনুমোদনের কথা জানায়। বিধি অনুসারে, সেটি স্টক এক্সচেঞ্জকেও জানানো হয়। পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ব্লক মার্কেটে এই লেনদেন নিষ্পন্ন হওয়ার কথা। তবে ওই ঘোষণার পরবর্তী কর্মদিবসেই লেনদেনটি নিষ্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য, সংখ্যক শেয়ার ধারণ ও অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিধিমালা Bangladesh Securities and Exchange Commission (Substantial Acquisition of Shares and Takeovers) Rule অনুসারে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা বা ১০ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিকদের শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জে আগাম ঘোষণা দিতে হয় এবং ঘোষণা দেওয়ার পরবর্তী ৩০ কার্যদিবস পর্যন্ত এর কার্যকারিতা থাকে।
১৯৭৬ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হওয়া জিএসকে বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন ১২ কোটি ৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৯টি। এর মধ্যে স্পন্সরদের তথা সেট ফার্স্ট লিমিটেডের শেয়ারের সংখ্যা ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৪৪টি। এই শেয়ারের পুরোটা-ই কিনে নিয়েছে ইউনিলিভার।
তবে মালিকানা বদল হলেও জিএসকে বাংলাদেশ এর এর ব্যবসায়িক কার্যক্রম কোনোভাবেই ব্যাহত হবে না। বরং জিএসকের পাশাপাশি ইউনিলিভারের নেটওয়ার্ক যুক্ত হলে কোম্পানিটির ব্যবসার পরিধি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছোএন সংশ্লিষ্টরা।