ডিএসই’র পরিচালক ইমন কারাগারে
নিউজ ডেস্ক
134
প্রকাশিত: ০৭ মে ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার : রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমনকে রিমান্ডে দেওয়ার আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। বৃহস্পতিবার, ৭ মে রমনা থানার পুলিশ তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে দেওয়ার আবেদন করেছিল আদালতে। সাধারণ ছুটির পর পুনঃরায় আদালত খোলার পর এ ব্যাপারে শুনানীর আদেশ দিয়েছে।
এদিকে মিনহাজ মান্নান ইমনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেনি আদালত। তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে র্যাবের করা এক মামলায় বুধবার, ০৬ মে তাকে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাব। কাল রাতেই তাকে রমনা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মিনহাজ মান্নান ইমন ও একই মামলায় গ্রেপ্তার দিদারুল ভুঁইয়াকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়। রমনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও আলোচিত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জামশেদুল আলম আদালতের কাছে আসামীদেরকে ৭ দিনের জন্য রিমান্ডে দেওয়ার আবেদন করেন।
তবে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তা মঞ্জুর করেননি। ছুটি শেষে আদালত খোলার পরে এ বিষয়ে শুনানী অনুষ্ঠানের আদেশ দেন তিনি। আদালত সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
একই মামলায় মঙ্গলবার, ০৫ মে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী মুশতাক গ্রেপ্তার হয়েছেন। মামলাটিতে মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হচ্ছেন-দিদারুল ভূঁইয়া, আসিফ মহিউদ্দিন, তাসনিম খলিল, সায়ের জুলকারনাইন, আসিফ ইমরান,স্বপন ওয়াহিদ, সাহেদ আলম ও ফিলিপ শুমাখার।
মামলায় মূল আসামী করা হয়েছে কিশোর ও মুশতাককে।
আসামিদের মধ্যে আসিফ মহিউদ্দিন একজন ব্লগার, যিনি জার্মানিতে থাকেন। পেশায় তাসনিম খলিল থাকেন সুইডেনে।
মিনহাজ মান্নান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য প্রতিষ্ঠান (ব্রোকার) বিএলআই সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির খালাত ভাই।
জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে ফেইসবুক ব্যবহার করে জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ, করোনাভাইরাস মহামারী সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র/সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানো, অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফেইসবুকে ‘I am Bangladeshi’ পেইজে সম্পৃক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিশোর, মুশতাক, দিদারুলকে, যে পেইজ থেকে রাষ্ট্রের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল বলে র্যাবের দাবি।
হোয়াটস অ্যাপ ও ফেইসবুক মেসেঞ্জারে কিশোর ও মুশতাকের সঙ্গে তাসনিম খলিল, সায়ের জুলকারনাইন, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের ‘ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ’ পাওয়ার দাবিও করেছে র্যাব।
দিদারুল ও মিনহাজ ফেইসবুকে মুশতাকের ‘ফ্রেন্ড’ উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়েছে’ তাদের সাথে হোয়াটস অ্যাপ ও ফেইসবুক মেসেঞ্জারে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।‘
তবে মিনহাজ মান্নান ইমন বা অন্য আসামীরা প্রকৃত পক্ষে ফেসবুকে কি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, চ্যাটিংয়ে ষড়যন্ত্রমূলক কি কি লিখেছেন তা সুনির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি।