বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারে নি:সংকোচে বিনিয়োগ করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা : কোম্পানি সচিব
নিউজ ডেস্ক
145
প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান : বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসতে যাওয়া কোম্পানিটি বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে থাকে। দেশে বিদ্যুতের চাহিদা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশকে উন্নত করতে একশো ইকোনোমিক জোনের কার্যক্রম চলমান। এসব ইকোনোমিক জোনে ভবিষ্যতে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক আকারে দেখা যাবে। তাই যেহেতু পুঁজিবাজারে এই সেক্টরের অংশ হতে যাচ্ছে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার; সেহেতু বিনিয়োগকারীরা নি:সংকোচে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করতে পারেন বলে জানিয়েছে কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ রানা।
কোম্পানি সচিব স্টক টাইমসকে বলেন, দেশে ইকোনোমিক জোনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে বর্তমান সরকার। এসব প্রজেক্টের কোনটি চলমান আবার কোনটি সমাপ্ত হয়েছে। তাই আগামীতে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পাবে। তাই বিনিয়োগকারীরা বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারে বিনিয়োগ করতে পারেন কোম্পানির প্রসপেক্টাস দেখে।
কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলি পাওয়ার লিমিটেড (কেপিএল) এবং বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার লিমিটেড (বিএসপিএল)। প্রতিষ্ঠান দুটির যথাক্রমে ১১০ মেগাওয়াট এবং ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি এইচএফও ভিত্তিক আইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নের পরে ইতিমধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে। বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের এই সহযোগী প্রতিষ্ঠান দুটিতে ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সূত্রমতে, বর্তমানে অথারাইজড ক্যাপিটাল তিনশো কোটি টাকা এবং পেইড আপ কেপিটাল প্রায় একশো কোটি টাকা। কোম্পানিটির রিটেইন্ড আর্নিংস ১২৯ কোটি ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ টাকা।
এদিকে শেয়ারবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কাট-অব প্রাইস নির্ধারণের জন্য বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের বিডিং (নিলাম) ২২ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) শুরু হয়; যা গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে।
গত ৫ জানুয়ারি শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫৫তম সভায় কোম্পানিটিকে বিডিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। যা তার সাবসিডিয়ারি কর্ণফুলী পাওয়ার ও বারাকা শিকলবাহা পাওয়ারে বিনিয়োগ, আংশিক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ এবং আইপিওজনিত ব্যয়ে ব্যবহার করা হবে।
কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরে সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪.৩৭ টাকা। আর বিগত পাঁচটি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৩.৩০ টাকা। ২০২০ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকায়।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস।
আরও পড়ুন:
অন্যান্য সম্পর্কিত আরও
বিদায়েও গৌরব কমছে না ফিলিস্তিনের
৩০ জানুয়ারী ২০২৪
মাস্টার ফিড এগ্রোতে সাড়ে ৩৭ গুণ বেশি আবেদন
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
কিউআইও’র মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের সিদ্ধান্ত সলিড ফিডের
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
মোস্তফা মেটালের কিউআইওতে আবেদন শুরু ২৬ সেপ্টেম্বর
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
মাস্টার ফিডের কিউআইওতে আবেদন শেষ কাল
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
মোস্তফা মেটালের কিউআইওতে আবেদন শুরু ২৬ সেপ্টেম্বর
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১